মিনহাজুল আবেদীন: [২] বৃহস্পতিবার ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে বলছে, মৌরিশাসে কাজের জন্য গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি নারী কর্মীরা। অভিযোগ ওঠেছে প্রতারণা করে নানাভাবে পাসপোর্টে বয়স বাড়িয়ে কম বয়সী নারীদের বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মৌরিশাসে। এ কাজে সহায়তা করছে বাংলাদেশি কয়েকটি দালাল চক্র।
[৩] তথ্যমতে, আয়তনে ছোট হলেও দক্ষিণ পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপ দেশ মৌরিশাসে বাংলাদেশের কর্মী রয়েছে ৭১ হাজার। এর মধ্যে নারী কর্মী ১৮ হাজারের বেশি। যার বড় সংখ্যকই গার্মেন্টসখাতের। তাদের অনেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
[৪] ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারী জানান, তাদের কথা না শুনলে গোপনে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় দালাল ও তার সহযোগীরা।
[৫] গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আক্তার এন্ড সন্স নামে এক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তার মেডিকেল রিপোর্টে ও গর্ভপাতের বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে। আর অনৈতিক কাজে কোম্পানির মালিক অনিল খলিলের সহযোগী হিসেবে কাজ করে দালালচক্রের মোহাম্মদ শাহ আলম, ফুরকান, আসলাম এবং সিদ্দিক।
[৬] রিক্রুটিং এজেন্সি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অভিযুক্ত আক্তার এন্ড সন্স রিক্রুটিং এজেন্সির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আল-আমিন জানান এর দায় সরকারের ওপর বর্তায়। বিদেশে যাওয়ার পর কোনও কর্মীকে জোর করে যৌনকর্মে বাধ্য হলে তার দায় দূতাবাস ও সরকারকে নিতে হবে এখানে এজেন্সির কোনও দায় নেই।
[৭] এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, এ বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্পাদনা: