শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২১, ১২:৪২ দুপুর
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২১, ১২:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] টুইটারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগ এনে মামলা করেছে ভারত

সাখাওয়াত হোসেন:[২] ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার মঙ্গলবার রাতে এ মামলা করে। টুইটারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে থেকেই ভারতের সঙ্গে টুইটারের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলছিলো। এনডিটিভি, ডয়চে ভেলে

[৩] গত ৫ জুন উত্তর প্রদেশে সামাদ নামের একজন মুসলিমকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘বন্দে মাতরম’ বলতে বলা হয়। ঐ মুসলিম এটি বলতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছিলো এবং তার দাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগও আসে। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে পোস্ট করা হয়েছিলো টুইটারে।

[৪] এরপর সরকারকে সমালোচনা করে ঐ ভিডিওতে বেশ কিছু টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করে। ফলে টুইটার কর্তৃপক্ষকে এই ভিডিও সরিয়ে নিতে সরকার চাপ দিলেও টুইটার তাতে সাফ অস্বীকৃতি জানায়।

[৫] ভারত সরকার টুইটারের কাছে দাবি জানিয়েছিলো, যেকোনো তথ্য সরকারকে প্রদান করে সহযোগিতা করতে হবে। সরকারের একজন প্রতিনিধিও টুইটারে নিয়োগ দিতে হবে। এই প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে, এটি সম্পূর্ণ বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।

[৬] উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার বলছে, অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলো ভারত সরকারকে সহযোগিতা করলেও টুইটার তা করছে না। তাই রাজ্য সরকার আইনের আশ্রয় নিয়েছে।

[৭] এ ঘটনায় টুইটার কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

[৮] তবে এ ঘটনায় বিরোধী দল ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। তাদের দাবি, সরকার নিজেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। সম্পাদনা: সুমাইয়া ঐশী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়