লিহান লিমা: [২] এনভারমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি লেটারস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বিক্রি হওয়া অর্ধেকের বেশি প্রসাধনী পণ্যতে বিষাক্ত শিল্প যৌগ (সি-৮) পাওয়া গিয়েছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকিসহ গর্ভস্থ সন্তানের ওজন হ্রাসেরমতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সংকটের জন্য দায়ী। এপি
[৩] নটরডম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বহুল ব্যবহৃত ২৩০টি পণ্য পরীক্ষা করে দেখেছেন, ফাউন্ডেশন ও চোখের পণ্যে (৫৬ ভাগ), ঠোঁটের পণ্যে (৪৬ শতাংশ) এবং মাসকারাতে (৪৭ শতাংশ) ফ্লোরিন রয়েছে- যা পিএফএএসের একটি সূচক। এটিকে ‘চিরায়ত রাসায়নিক’ও বলা হয়। ফ্লোরিন ননস্টিক ফ্রাইং প্যান, রাগস ও অন্যান্য ভোক্তাপণ্যগুলোতে ব্যবহৃত হয়। পিএফএএসের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে পানিরোধী মাসকারাতে (৮২ শতাংশ) ও দীর্ঘস্থায়ী লিপস্টিক (৬২ শতাংশ)।
[৪]ফ্লোরিনের উচ্চতরমাত্রা সম্বলিত ২৯টি পণ্য পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এগুলোতে কমপক্ষে ৪ থেকে ১৩টি পিএফএএস রাসায়নিক রয়েছে। গবেষকরা কোনো ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ করেন নি তবে তারা কয়েক ডজন জনপ্রিয় ব্র্র্যান্ডের প্রসাধনীই পরীক্ষা করেছিলেন।
[৫]এই গবেষণাটি এমন এক সময় প্রকাশিত হয়েছে যখন মার্কিন সিনেটের এক দল সদস্য প্রসাধনী পণ্যে পিএফএএস নিষিদ্ধের বিল উত্থাপন করেছেন। কানেটিকাটের ডেমোক্রেট সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল বলেন, ‘মানুষ প্রতিদিন নিজেদের ত্বকে মেকআপের আড়ালে এই লুকানো রাসায়নিক ব্যবহার করে যাচ্ছে।’ গবেষণার প্রধান লেখক নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক গ্রাহাম পিসলি বলেন, ‘পিএফএএস সম্বলিত প্রসাধনীগুলো তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি তৈরি করছে। এটি যখন রক্ত প্রবাহে যায় সেখানেই জমা হয়ে থাকে।’
আপনার মতামত লিখুন :