সুমাইয়া ঐশী : [২] ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি আরবের কনস্যুলেটে হত্যা করা হয় সাংবাদিক খাশোগজিকে। এনিয়ে গোপনে বিস্তর তদন্ত করছে ইয়াহুর সংবাদমাধ্যম। এ সংক্রান্ত একটি ধারাবাহিক অডিও সম্প্রচার বা পডকাস্ট প্রচার করছে ইয়াহু। সেখানেই উঠে এসেছে অবৈধ এ ড্রাগের তথ্য। মিডলইস্ট আই
[৩] ইয়াহুর অনুসন্ধানভিত্তিক পডকাস্টে বলা হয়, ২০১৮ সালের গাল্ফস্টিম জেটে করে ইস্তাম্বুল আসে হত্যাকারীরা। এর আগে মিশরের কায়রোতে ক্ষণিকের জন্য অবতরণ করে জেটটি, সেখান থেকেই এই অবৈধ ড্রাগ নেওয়া হয়, যা দিয়েই মূলত খাশোগজিতে প্রাণে মেরে ফেলে হত্যাকারীরা। তবে এই প্রতিবেদনে এটি স্পষ্ট করা হয়নি, কারা এ ড্রাগ তাদেরকে সরবরাহ করেছিলো। ডেইলি মেইল
[৪] পডকাস্টে খাশোগজির হত্যার বিবরণ দিয়েছে ইয়াহু। সেখানে বলা হয়, হত্যার দিন নিজের বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন খাশোগজি। সেখানে প্রবেশ করেই বিপদ আঁচ করতে পারেন এই সাংবাদিক, পালানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
[৫] ইয়াহু বলছে, খাশোগজিকে জোর করে কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসরুমে একটি চেয়ারে বসানো হয়। ঐ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেনসিক চিকিৎসক সালাহ তুবাগি। তিনিই এই ড্রাগ ইনজেক্ট করেন খাশোগজির শরীরে। ইনজেক্ট করা ড্রাগের পরিমাণ তাকে হত্যা করতে যথেষ্ট ছিলো। দ্য হিল
[৬] এই প্রতিবেদনে খাশোগজি হত্যায় মিসর কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার সরাসরি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল