রিয়াজুর রহমান রিয়াজ : [২] বদলি অস্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া সকল পাওনা পরিশোধ করার দাবি, ২০১৯ সালের সাপ্তাহিক পাওনা ও মিল বন্ধের নােটিশ পে - মজুরি অতিদ্রুত পরিশােধ করার নিমিত্তে এবং বন্ধ সকল পাটকল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালু করার দাবিতে
নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করছেন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬ টি পাটকলের আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
[৩] বুধবার (১৬ জুন) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম নগরীর আমিন জুট মিলস্, দক্ষিণ গেইট সংলগ্ন একটি হল রুমে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য, চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকরা এ কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
[৪] ঘোষিত কর্মসূচীগুলো হল- আগামী ২৪ জুন আমিনজুট মিলের সামনে অবস্থান ধর্মঘট, ২৮ জুন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ এবং ৩০ জুন ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘােষণা ।
[৫] সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব কামাল উদ্দিন বলেন- গত বছরের ২ জুলাই রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬ টি পাটকলের বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক একসাথে কর্মহীন হয়ে পড়ে । সে সময় প্রায় দুই মাসের মধ্যে সকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশােধ করে মিলগুলােকে আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করার ঘােষণা দেয় সরকার । কিন্তু দীর্ঘ প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও সরকার দু ' নামের জটিলতা , কাঁচা ঘরের ভাড়া জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে এখনাে স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশােধের কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে পারেনি।
[৬] বদলি ও অস্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা এখনাে শুরুই করা হয়নি । কবে নাগাদ পরিশােধ করা হবে তার সুনিদৃষ্ট সময় এখনও জানাতে পারেনি মিল কর্তৃপক্ষ তথা বিজেএমসি ও পাটমন্ত্রি ।
[৭] তিনি বলেন, পাটকল চালুসহ পাওনা পরিশােধের দাবিতে গত একবছর ধরে মানব বন্ধন , শ্রমিক সমাবেশ , বিজেএমসি কার্যালয় ঘেরাওসহ আমরা বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করেছি। কিন্তু আজও কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির ব্যাপারে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি । এই অবস্থায় শ্রমিকদের কঠোর কর্মসূচি ঘােষণা করা ছাড়া আর কোন পথ খােলা নেই ।
[৮] রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের লােকসানের দেখিয়ে পাটকলগুলাে বন্ধ করা হয়েছে । এর সরাসরি ভূক্তভােগী শ্রমিকেরা । কিন্তু কাদের দোষে , কি কারণে প্রতিষ্ঠানগুলাে লােকসানি হলে তা বের করার জন্য সরকারের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না ।
[৯] লােকসানের কারণ হিসাবে দুর্নীতি , অব্যবস্থাপনা , সমন্বয়হীনতা , পাট ক্রয়ে সিন্ডিকেটের প্রভাব , আধুনিকায়নে গাফিলতি , বাজারভাতকরণে উদ্যোগের অভাব এগুলােকে চিহ্নিত করা হলেও এই ব্যাপারে কোনাে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ।
[১০] সরকারের ভুলনীতি এবং বিজেএমসি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির দায় শ্রমিকরা কেন বহন করবে ? এক সময় পাটকলগুনা লাভজনক ছিল , অথচ গত বিশ পঁচিশ বছর ধরে বিজেএমসির কর্মকর্তাদের দুনীতি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হলে এই পাটকলের লোকসানের কারণ বেরিয়ে আসবে।
[১১] সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-ছাত্র-জনতা ঐক্য, চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট আমির আব্বাস তাপু, বক্তব্য রাখেন- সদস্য সত্যজিৎ বিশ্বাস, আমিন জুট মিলস সিবিএ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক।
আপনার মতামত লিখুন :