শাহাদাত হোসেন: [২] ইটের দেওয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি পাকা ঘরে উঠার অপেক্ষায় আছে রাউজানে ৪’শ ৮৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এসব সেমিপাকা ঘরে ২টি শয়ন কক্ষ, ১টি খোলা বারান্দা, ১টি রান্না ঘর এবং ১টি শৌচাগার রয়েছে।
[৩] মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য রাউজানে ৪’শ ৮৮টি সেমি পাকা ঘর নির্মিত হচ্ছে। এরমধ্যে ২’শ ৪০টি পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নির্মিত ঘরগুলোতে পানি সংকট নিরসনে বসানো হয়েছে গভীর নলকূপ। দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ও ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এসব নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী ২০ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২য় পর্যায়ে নির্মিত গৃহ হস্তান্তর করবেন।
[৪] এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকালে ভূমিহীন পরিবারের জন্য নির্মাণ করা ঘর পরিদর্শন করেন প্রধান মন্ত্রীর কার্যলয়ের পরিচালক-৯ সাখাওয়াৎ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অতিশ দর্শী চাকমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদ, উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম, চেয়ারম্যন শফিকুল ইসলাম।
[৫] প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদ জানায়, মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে এই উপজেলার ৫৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছিল ঘর। এরমধ্যে ৫০টি রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অর্থায়নে নির্মাণ করে দেয়া ঘর। বাকি ৪টির মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল দিয়েছেন ২টি, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব একটি, রাউজান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ একটি করে দিয়েছেন।
[৬] জানা যায়, ভূমিহীনদের জন্য তৈরি করা প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এই উপজেলায় এইখাতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :