মোঃ ইউসুফ মিয়া: [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া উজানচর ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মার নদীর চরজুড়ে জমি থেকে এখন বাদাম উঠাতে (তুলতে) ব্যস্ত সময় পার করছেন চরের কৃষককেরা। এসব এলাকায় কৃষকরা চর মহিদাপুর, চর কর্ণেরশনা, রাখালগাছি, চর বেতকা সহ বিভিন্ন চর এলাকার কৃষকরা বাদামের ব্যাপক চাষ করেছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে।
[৩] গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষি বিভাগ জনিয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলায় এ বছর ১’শ ৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে ১’শ ৯৫ হেক্টর জমিতে।
[৪] দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাহিরচর দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকার বাদাম চাষী হানিফ খাঁ বলেন, গত বছর চড়ের ৫ বিঘা জমিতে বাদম চাষ করেছিলাম। ৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে মোট খরচ হয়েছিলো ২৫-৩০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করেছিলাম ৯০ হাজার টাকার চেয়ে বেশি টাকা। গতবার লাভ হয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার টাকার মতো। এ বছরও ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আশা করেছি গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি লাভ পাব।
[৫] দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট উত্তরের এলাকার আরেক বাদাম চাষি মহিউদ্দিন শেখ বলেন, গত বছর ২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। এ বছর ৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাদাম ভালো হয়েছে আশা করছি বাজারে বেশী দামে বিক্রি করতে পারলে আমার মতো কৃষকের কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠতে পারবো এবং এবারও বেশি লাভ হবে আমাদের মতো বাদাম চাষীদের।
[৬] উপজেলার অন্তরমোড় চরের কৃষক রোস্তম আলী বলেন, “বাবারে হামরা তো চড়ের মানষ, চড়েই থাহি, চরেই আমাগেরে বাড়ি-ঘর। আর তোমারা তো বাদামের কথা কইতাছাও। এ বছর ৩ বিঘাতে জমিতে। বাদাম তো ভালোই হইছে। সরকার যদি আমাগেরে দিকে তাকায় তাহলে ভালোই দাম পাবানি। বাদামে তো এহন খরচ কম হয়, অন্য ফসলের চেয়ে। তাই বাদাম চাষ করেছি।"
[৭] গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসাবে ১’শ ২০ জন কৃষককে ডিএপি ১০ কেজি, সার ৫ কেজি, বারী-৮ বীজ ১০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কৃষকের জমিতে বাদাম চাষে ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিটি কৃষকেরা যে কষ্ট করে পদ্মা নদীতে বাদাম চাষাবাদ করে লাভবান এবার হবে। ভালো ফলনের এবার বাদাম চাষীদের মুখে আনন্দের হাসি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :