শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০২১, ০৫:০৭ সকাল
আপডেট : ১৬ জুন, ২০২১, ০৫:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারী সাক্ষরতার হার খুলনায় ৯৪.৭ শতাংশ এগিয়ে ময়মনসিংহে ৮৩.৭ শতাংশ পিছিয়ে

নিউজ ডেস্ক: নারীদের সাক্ষরতার হারে দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে খুলনা বিভাগ। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের ওপর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে দেখা গেছে, খুলনা বিভাগে ৯৪.৭ শতাংশ নারীই সাক্ষর। এরপরই রয়েছে বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ; এসব এলাকায় নারী সাক্ষরতার হার যথাক্রমে ৯১.৬, ৯০.৩ ও ৯০ শতাংশ।

ওই চার বিভাগের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে ঢাকা বিভাগ; এখানে সাক্ষরতার হার ৮৮.১ শতাংশ। ঢাকার পর চট্টগ্রাম বিভাগের অবস্থান, ৮৭.২ শতাংশ। সিলেট বিভাগের এই হার ৮৪.৯ শতাংশ। নারী শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ; যার হার ৮৩.৭ শতাংশ।

বিবিএস ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘মাল্টি ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে-২০১৯’ জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে; যা গত মে মাসে প্রকাশিত হয়েছে। জরিপটি ৬৪ জেলা, শহর ও গ্রামাঞ্চলের ৬৪ হাজার ৪০০টি বসতবাড়ির ৩২ হাজার ২২০টি নমুনার ওপর পরিচালিত হয়।

জেলাওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, নারী সাক্ষরতার হার সবচেয়ে বেশি কুষ্টিয়া জেলায়, ৯৬.৬ শতাংশ। এর পরই ঝিনাইদহ (৯৫.৬ শতাংশ), খুলনা (৯৫ শতাংশ), বরিশাল (৯৪.৯ শতাংশ), ঝালকাঠি (৯৪.৭ শতাংশ) ও মাগুরার (৯৪.৭ শতাংশ) অবস্থান। জরিপ অনুযায়ী সব থেকে কম নারী সাক্ষরতার হার বান্দরবান জেলায়, ৬৭ শতাংশ। এর পরই কক্সবাজার (৭৫.২ শতাংশ), খাগড়াছড়ি (৭৭ শতাংশ), রাঙামাটি (৭৭.৩ শতাংশ) ও শেরপুরের (৭৮.৬ শতাংশ) অবস্থান।

জানতে চাইলে শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে আইন আছে, কিন্তু আইনের প্রয়োগ সেভাবে নেই। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে একটি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন করা হয়েছে, কিন্তু তার ব্যবহার নেই। এই জায়গায় আমাদের আইনের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ দিতে হবে।’

পার্বত্যাঞ্চলে সাক্ষরতার হার কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর পেছনে অন্যতম কারণ হলো স্কুলের দূরত্ব; পাহাড়ের অনেক শিক্ষার্থীকে অনেক দূরের পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের স্কুলের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। এ ছাড়া আমাদের সমাজকে শিক্ষা সচেতন হতে হবে। সূত্র- কালের কণ্ঠ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়