শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২১, ০৬:২৮ বিকাল
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২১, ০৬:২৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সকল খালের দায়িত্ব পাচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন

সুজিৎ নন্দী: [২] গণপূর্ত, রাজউক, পাউবো ও জেলা প্রশাসকের কাছে বাকি যে ১৭টি খাল রয়েছে তা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানী ৪৩টি খাল দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে দেয়া হবে। গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা ওয়াসার আওতায় থাকা ২৬টি খালের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

[৩] এরপরেও রাজধানীর জলাবদ্ধতা কমাতে যদিও দাফতরিকভাবে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব এখনও ঢাকা ওয়াসার। প্রশাসনিক এই জটিলতার মাঝেই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে কাজ করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তবে খুব শিঘ্রই সুফল পুরোপুরি পাবে নগরবাসী বলে জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

[৪] স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই সিটি যদি এটি নিয়ন্ত্রণ করে তবে সেটা ভালো। মালিকানা সরকারের, আর এই খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রকল্প তৈরি করবে সিটি করপোরেশন।

[৫] মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদকে আহ্বায়ক করে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, সংস্থা ও দফতরের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দিলেই হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করবে।

[৬] ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা জানান, খালগুলো এককভাবে সিটি করপোরেশনের হাতে আসাতে আমরা খুশি হয়েছি। সামগ্রিকতা নির্ভর যে সমন্বিত পরিকল্পনা এটারও প্রয়োজন হবে না। দ্বিতীয়ত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কঠিন এবং তরল।

[৭] সূত্র জানায়, বেশকিছু খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। কিছু নালা নদর্মায় পরিণত হয়ে রয়েছে। আর যেগুলোর পানি প্রবাহ এখনও কোনরকমে টিকে আছে তাও ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, ড্রেনের পাশাপাশি খাল দীর্ঘদিন পরিষ্কার না রাখায় দিনের পর দিন জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ বাড়ছেই।

[৮] ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, বৃষ্টির যে পানি রাস্তায় জমে তা নদী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়াই ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ। আর খালগুলো এই সিস্টেমের অন্যতম অনুষঙ্গ।

[৯] আরো জানায়, প্রথমে নরমাল ড্রেন, স্ট্রং ড্রেন, বক্স কালভার্ট, জলাধার তারপরে নদী বা পাম্প স্টেশন-এই হলো টোটাল প্রসেস। এই প্রসেসের বিরাট একটা অংশ সিটি করপোরেশনের হাতে ছিল। বাকি অংশ ছিল ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। পুরো নেটওয়ার্কে সমন্বিত না থাকায় সমস্যা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়