শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২১, ০৪:৩৪ সকাল
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২১, ০৪:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খান আসাদ: নারী কর্মকর্তার গার্ড অব অনারে আপত্তি কাদের?

খান আসাদ: মনে হয় সবারই মনে আছে, ২১ বছর বয়সী নাফিসের কথা। ২০১২ সালে, নিউইয়র্কে সে ফেডারেল রিজার্ভ বিল্ডিং উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। এফবিআই এর ফাঁদে পা দিয়েছিলো ছেলেটি। শত্রুর বা বিপক্ষের ফাঁদে পা দেওয়ার আরও নানা রকম ব্যাপার থাকে। ব্যাপারটা ষড়যন্ত্র, তবে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব নয়। আপনার চিন্তার প্রবণতা বুঝে আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া। যেমন ধরুন, আপনি অফিসের বড় কর্মকর্তা, ধার্মিক এবং আওয়ামীলীগ করেন। আপনি চান যে অফিসের পরিবেশ সেক্যুলার থাকুক, হিন্দু কর্মচারীরাও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুক। কিন্তু একজন প্রাক্তন ছাত্রশিবিরের নেতা এই অফিসের কর্মী এবং সে চায় পুরো পরিবেশটি ‘ইসলামিক’ হোক। এখন কীভাবে সে এই বড় কর্তাকে ফাঁদে ফেলে কাজটি করবে? ওই স্টিং অপারেশন কৌশলে। আগে আপনার চিন্তার ধরনটা বুঝবে। আপনি কোন লাইনের। আপনার প্রবণতা কি সুফী লাইনের, নাকি ‘বিদ্বান’ লাইনের। বিদ্বান, মানে আপনি কোরআন হাদিস নিয়ে জ্ঞানের কথা বলতে ভালোবাসেন কিনা। প্রবণতা বোঝে ওষুধ দেওয়া হবে। মানে আপনাকে ‘ইসলামী’ বই উপহার দেওয়া হবে, আপনার সঙ্গে নানা প্রসঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলাপ হবে। এক পর্যায়ে, আপনাকে দিয়ে অফিসের একটি জায়গা আলাদা করে রাখা হবে, নামাজের জন্য। তারপর, একজন হুজুর নিয়োগ দেওয়া হবে। একসময় আপনার অফিসে হিন্দু নারীর সিঁথির সিঁদুর এতোই সংক্ষিপ্ত হবে যে বোঝাই যাবে না।

ইতোমধ্যে হিন্দুরাও আলহামদুলিল্লাহ বলা শুরু করেছে। অফিসের ক্যান্টিনে হালাল খাবার এসেছে। দেয়ালে ছিলো এসএম সুলতানের পেইন্টিং এখন সেখানে চীন থেকে আমদানিকৃত আয়াতুল কুরসি লেখা ‘ইসলামী’ শিল্প ঝুলছে। আমাদের রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ সব ব্যাপারে একটাই যুক্তি দিয়ে থাকেন। অমুকে তমুক কাজটি কেন করেছে? সহজ উত্তর ‘ক্ষমতার জন্য’। না রে ভাই, স্টিং অপারেশনও হতে পারে। কেনো এই আলাপ জানেন? বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী ইউএনওর বিকল্প চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি যে সুপারিশ করেছে, সেই প্রসঙ্গে। ‘নারী’ ইউএনও গার্ড অব অনার দেবে, জানাজা পড়াবেনা। ফলে এটি একটি সূচনামাত্র, টেস্ট করে দেখা। জল আরও অনেক দূর গড়াবে। নারী কর্মকর্তার গার্ড অব অনারে আপত্তি কাদের? কাদের আবার, যাদের কাছে ‘নারী নেতৃত্ব হারাম’। সেক্যুলার লোকেরা কেন এই প্রস্তাব দেয়? একটি কারণ হতে পারে, ঐ স্টিং অপারেশন। হেফ-জামাতিরা জানে, সহিংসতা করে হবেনা। তাহলে কেন অন্য অপশন নয়? ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করার প্ল্যান করতে পারে, তারা আরও অনেক কিছুই করতে পারে। স্টিং অপারেশন রাজনীতিকে বোঝার একটি এঙ্গেল মাত্র। সবধরনের চিন্তাই আপনাদের মাথায় থাকুক।
ফেসবুক থেকে তানিমা শিউলি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়