আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা দ্বিতীয় দফায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভারতের কেন্দ্র সরকারের ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের মন্ত্রিসভায় শিগগিরই রদবদল ও সম্প্রসারণ হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। ঢাকাপোস্ট
দেশটির গণমাধ্যগুলোতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শিগগিরই মোদির মন্ত্রিসভায় রদবদল হওয়ার কথা শোনা গেলেও ঠিক কবে মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঘোষণা আসতে পারে তা নিয়ে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লির রাজনীতি এখন সরগরম। ঢাকা পোস্টে
বিজেপিশাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে আগামী বছরের শুরুতে বিধানসভা নির্বাচন, নানা কারণে মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা কমে যাওয়া ছাড়াও জোট শরিক দলগুলোর মধ্যে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া নিয়ে তোড়জোড়ের মধ্যে মোদির মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হচ্ছে।
শরিকদের মধ্যে এনডিএ জোট ছেড়েছে শিবসেনা ও অকালি দল। লোক জনশক্তি পার্টির নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছেন মন্ত্রী সুরেশ আঙ্গাদিও। এছাড়া আয়ুষমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
এই সুযোগ মন্ত্রিত্ব পেতে মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে শরিক দলগুলো। এছাড়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আর সুশীল মোদির মতো শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতারাও মন্ত্রিসভার ঠাঁই পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
বিহারের শরিক সংযুক্ত জনতা দল এতদিন উপযুক্ত মন্ত্রণালয় না পেলে মন্ত্রিসভায় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। সে দলও এখন অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দাবি করছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারের এই দাবি না মানলে রাজ্যটিতে নতুন সংশয়ও সৃষ্টি হতে পারে।
সম্প্রসারণ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উত্তর প্রদেশের জন্য। এ রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে বিশেষ নজর দিতেই হবে। কেননা দলের অনেক সমর্থকদের কাছেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অপ্রিয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তার বিরোধের বিষয়টিও প্রকাশ্য।
উত্তরপ্রদেশে অখুশি ব্রাহ্মণ সমাজের মান ভাঙাতে দলে টানা কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদকেও মন্ত্রী করার কথা। আপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেল প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। মন্ত্রিত্বের দাবিদার তিনিও। তারই মতো দাবিদার নিষাদ পার্টির প্রবীণকুমার নিষাদের।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হারের পর রাজ্যের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকেও মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
তবে অর্থ, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রে রদবদলের সম্ভাবনা নেই। রেল ও কৃষি মন্ত্রণালয়ও বিজেপি হাতছাড়া করবে না বলে ধারণা। শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় দুই বছর ধরে খালি থাকা ডেপুটি স্পিকারের পদটিও হয়তো এবার পূরণ হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :