শিরোনাম
◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০২১, ১১:২৪ রাত
আপডেট : ১৪ জুন, ২০২১, ১১:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা মহামারিতে পকেট ভেন্টিলেটর আবিষ্কার করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী

নিউজ ডেস্ক: করোনার মহামারী সংকটের সময়, ‘পকেট ভেন্টিলেটর’ আবিষ্কার করে; বিশ্বে সাড়া ফেলে দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী। করোনা বিপদের সময় ভেন্টিলেটর নিয়ে; তৈরি হয়েছিল সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধান করলেন; কলকাতার বিজ্ঞানী রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়। সবাইকে চমকে দিয়ে, তিনি বানিয়ে ফেলেছেন; বিশেষ ‘পকেট ভেন্টিলেটর’। তাঁর তৈরি বিশেষ ব্যাটারি চালিত পকেট ভেন্টিলেটর; যে কোনও রোগীকে তাৎক্ষনিক সাহায্য দিতে পারবে। রামেন্দ্রবাবুর এই আবিষ্কার বাড়িতে থাকা, রোগীদের কাছে; মৃত সঞ্জীবনী হয়ে উঠবে। হঠাৎ করে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করলে; দিনকয়েক এই যন্ত্রই সামলে দিতে পারবে ‘ক্রাইসিস’।

নিজের পকেট ভেন্টিলেটর নিয়ে এমনটাই আশা; প্রায় ৩০টি আবিষ্কারের পেটেন্টের মালিক বাঙালি বিজ্ঞানীর। নিজে বিপদে পরেই; এই আবিস্কার করে ফেললেন; বিজ্ঞানী ডাঃ রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায় (Dr Ramendra Lal Mukherjee)। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনিও। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ; ৮৮ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হতে না হলেও; সেদিনই তিনি বুঝেছিলেন; কোভিডের ক্ষেত্রে এই ভেন্টিলেটরের গুরুত্ব কতখানি। নেগেটিভ হওয়ার পর; তাই আর দেরি করেননি। মাত্র ২০ দিনেই, করোনা রোগীদের জন্য বানিয়ে ফেলেছেন; বিশেষ ‘পকেট ভেন্টিলেটর’।

এই কোভিড ‘পকেট ভেন্টিলেটরের’ (Pocket Ventilator); ওজন মাত্র ২৫০ গ্রাম। একবার চার্জ দিলে; ৮ ঘণ্টা চলে। সাধারণ মোবাইল চার্জারে; অনায়াসে চার্জ দেওয়া যায় পকেট ভেন্টিলেটরে। যেখানে খুশি নিয়ে যাওয়ার; কোনও সমস্যা নেই। ডাঃ মুখোপাধ্যায়ের বিশ্বাস, করোনা সামলাতে; ছোট্ট এই ভেন্টিলেটর অত্যন্ত কাজে দেবে।

কীভাবে কাজ করবে এই ছোট্ট ‘পকেট ভেন্টিলেটর’

পকেট ভেন্টিলেটরের’; দুটো ভাগ রয়েছে। একটি পাওয়ার ইউনিট; অন্যটি মাউথপিস যুক্ত ভেন্টিলেটর ইউনিট। দুটি ইউনিট মুখোশের সঙ্গে; সংযুক্ত রয়েছে। সুইচ-অন হলে বাইরের বাতাস, এই যন্ত্রে মজুত আলট্রা ভায়োলেট চেম্বার দিয়ে; বিশুদ্ধ হয়ে ফুসফুসে যায়। চেম্বারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়; বাতাসে কোনও জীবাণু থাকলেও মরে যায়।

রোগী যখন নিঃশ্বাস ছাড়েন, তখনও একই কায়দায়; বাতাসকে আলট্রা ভায়োলেটে শুদ্ধ করে ছাড়ে এই যন্ত্র। ফলে ডাক্তার-নার্স বা রোগীর আশপাশে থাকা মানুষজনের; কোনও সমস্যা নেই। যন্ত্রটি হাসপাতালে ব্যবহৃত সিপ অ্যাপ (কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার) যন্ত্রের; ছোট বিকল্প বলেই জানালেন বাঙালি বিজ্ঞানী।

সূত্র : দা নিউজ বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়