শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০২১, ১১:২৪ রাত
আপডেট : ১৪ জুন, ২০২১, ১১:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা মহামারিতে পকেট ভেন্টিলেটর আবিষ্কার করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী

নিউজ ডেস্ক: করোনার মহামারী সংকটের সময়, ‘পকেট ভেন্টিলেটর’ আবিষ্কার করে; বিশ্বে সাড়া ফেলে দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী। করোনা বিপদের সময় ভেন্টিলেটর নিয়ে; তৈরি হয়েছিল সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধান করলেন; কলকাতার বিজ্ঞানী রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়। সবাইকে চমকে দিয়ে, তিনি বানিয়ে ফেলেছেন; বিশেষ ‘পকেট ভেন্টিলেটর’। তাঁর তৈরি বিশেষ ব্যাটারি চালিত পকেট ভেন্টিলেটর; যে কোনও রোগীকে তাৎক্ষনিক সাহায্য দিতে পারবে। রামেন্দ্রবাবুর এই আবিষ্কার বাড়িতে থাকা, রোগীদের কাছে; মৃত সঞ্জীবনী হয়ে উঠবে। হঠাৎ করে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করলে; দিনকয়েক এই যন্ত্রই সামলে দিতে পারবে ‘ক্রাইসিস’।

নিজের পকেট ভেন্টিলেটর নিয়ে এমনটাই আশা; প্রায় ৩০টি আবিষ্কারের পেটেন্টের মালিক বাঙালি বিজ্ঞানীর। নিজে বিপদে পরেই; এই আবিস্কার করে ফেললেন; বিজ্ঞানী ডাঃ রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায় (Dr Ramendra Lal Mukherjee)। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনিও। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ; ৮৮ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হতে না হলেও; সেদিনই তিনি বুঝেছিলেন; কোভিডের ক্ষেত্রে এই ভেন্টিলেটরের গুরুত্ব কতখানি। নেগেটিভ হওয়ার পর; তাই আর দেরি করেননি। মাত্র ২০ দিনেই, করোনা রোগীদের জন্য বানিয়ে ফেলেছেন; বিশেষ ‘পকেট ভেন্টিলেটর’।

এই কোভিড ‘পকেট ভেন্টিলেটরের’ (Pocket Ventilator); ওজন মাত্র ২৫০ গ্রাম। একবার চার্জ দিলে; ৮ ঘণ্টা চলে। সাধারণ মোবাইল চার্জারে; অনায়াসে চার্জ দেওয়া যায় পকেট ভেন্টিলেটরে। যেখানে খুশি নিয়ে যাওয়ার; কোনও সমস্যা নেই। ডাঃ মুখোপাধ্যায়ের বিশ্বাস, করোনা সামলাতে; ছোট্ট এই ভেন্টিলেটর অত্যন্ত কাজে দেবে।

কীভাবে কাজ করবে এই ছোট্ট ‘পকেট ভেন্টিলেটর’

পকেট ভেন্টিলেটরের’; দুটো ভাগ রয়েছে। একটি পাওয়ার ইউনিট; অন্যটি মাউথপিস যুক্ত ভেন্টিলেটর ইউনিট। দুটি ইউনিট মুখোশের সঙ্গে; সংযুক্ত রয়েছে। সুইচ-অন হলে বাইরের বাতাস, এই যন্ত্রে মজুত আলট্রা ভায়োলেট চেম্বার দিয়ে; বিশুদ্ধ হয়ে ফুসফুসে যায়। চেম্বারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়; বাতাসে কোনও জীবাণু থাকলেও মরে যায়।

রোগী যখন নিঃশ্বাস ছাড়েন, তখনও একই কায়দায়; বাতাসকে আলট্রা ভায়োলেটে শুদ্ধ করে ছাড়ে এই যন্ত্র। ফলে ডাক্তার-নার্স বা রোগীর আশপাশে থাকা মানুষজনের; কোনও সমস্যা নেই। যন্ত্রটি হাসপাতালে ব্যবহৃত সিপ অ্যাপ (কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার) যন্ত্রের; ছোট বিকল্প বলেই জানালেন বাঙালি বিজ্ঞানী।

সূত্র : দা নিউজ বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়