আল-হেলাল:[২] সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার আলোচিত ফুটবলার মাসুম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঐ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাফরোজ ইসলাম মুন্নাকে মামলায় অর্ন্তভূক্ত করাসহ সকল আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
[৩] সোমবার সকালে নিহত মাসুমের পরিবার ও স্বজনদের আয়োজনে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন শিল্পকলা একাডেমির আব্দুল হাই মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের আপন ছোটবোন হত্যা মামলার বাদি তমা আক্তার।
[৪] তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ই এপ্রিল বেলা আড়াইটায় কাউন্সিলর সাফরোজ ইসলাম মুন্না আমাদের বাড়িতে এসে আমার ভাই মাসুমকে ঘুম থেকে ডেকে উঠানে নিয়ে বাশেঁর বেড়া তুলে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলে মাসুম তা প্রত্যাখান করেন।
[৫] এ সময় কাউন্সিলর সাফরোজ ইসলাম মুন্নার সামনে প্রতিপক্ষ সুরুজ আলী,তার ছেলে রুবেল মিয়া ও নাজমুল হক লিয়নের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লোক লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রথমে আমার ভাই মাসুমের মাথায় আঘাত করে এবং পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে পিঠানোর ফলে সে সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
[৬] আমার মা বার বার আমার ভাইকে বাচাঁনোর জন্য কাউন্সিলরের নিকট হাতজোড় করে প্রানভিক্ষা চাইলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। বরং কাউন্সিলর সাফরোজ ইসলাম মুন্না এ সময় উঠানে দেয়া বাশেঁর বেড়া উপড়ে ফেলেন। ঐদিন আমার ভাই সিলেটস্থ এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
[৭] এই ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে গত ১৯ এপ্রিল জগন্নাথপুর থানায় আমি বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। । মামলায় কাউন্সিলর সাফরোজকে অজ্ঞাতনামা আসামীর মধ্যে রাখা হলে বর্তমানে তিনি সরকার দলীয় লেবাসে বিভিন্ন জায়গাতে অপপ্রচারসহ বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
[৮] এই মামলায় তাকে আসামী হিসেবে আটক ও অর্ন্তভূক্ত করার জন্য আমরা সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট দাবী জানাই। সংবাদ সম্মেলনে ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. সুহেল আহমদ,যুবলীগ নেতা সাবুল মিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল পরানগং এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :