কূটনৈতিক প্রতিবেদক:[২] রোববার লিবিয়ার কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, অভিবাসন প্রত্যাশী এসব বাংলাদেশি অবৈধভাবে দেশটিতে গিয়ে ছিলেন এবং সেখান থেকে সাগর পথে ইতালি যাওয়ার পথে দেশটির কোস্টগার্ডের হতে তারা ধরা পরেন।
[৩] শনিবার লিবিয়ার কোস্টগার্ড ভূমধ্যসাগরে পৃথকভাবে ৫ টি অভিযান চালিয়ে মোট ১০০০ শরনার্থীকে আটক করেছে।
[৪] লিবিয়ার জাওয়াইয়া কোস্টগার্ড দুইটি অভিযান এবং লিবিয়ার ত্রিপোলি কোস্টগার্ড তিনটি অভিযান পরিচালনা করে এসকল অভিবাসীদের আটক করে। আটককৃত শরনার্থীদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশী রয়েছেন তার সঠিক খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে সংখাটি দুই শাতাধিকের বেশি হবে।
[৫] এদিকে দূতাবাসের বরাত দিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমধ্যসাগর থেকে ৪৩৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। তাঁদের মধ্যে ১৬৪ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।
[৬] লিবিয়া অবজারভার জানায়, গত বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি উদ্ধার অভিযানে ৪৩৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার হন। তাঁরা আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তাঁরা সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
[৭] লিবিয়ার নৌবাহিনীর চিফ অব স্টাফের এক মুখপাত্র বলেছেন, ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধারের পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের লিবিয়ার ত্রিপোলির নৌঘাঁটিতে আনা হয়। পরে তাঁদের লিবিয়ার অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ-বিষয়ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
[৮] চলতি বছর দেশটির কোস্টগার্ড সমুদ্র থেকে ৯ হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০২০ সালে উদ্ধার করা হয় ৭ হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে।
[৯] আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ৮১৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :