মনিরুল ইসলাম: [২] একাদশ জাতীয় সংসদের ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ১৯তম বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
[৩] রোববার কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা শেষে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান চিহ্নিত রাজাকারের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারী চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণের প্রস্তাব তুলেন।
[৪] জানা যায়, বৈঠকে কমিটির উপস্থিত সকল সদস্য এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। ভিয়েতনামসহ বিশ্বের অনেক দেশেই যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সরকারী চাকুরী নিষিদ্ধ।
[৫] কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
[৬] বৈঠকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড সভায় প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনাসমূহ অবহিতকরণ, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গৃহীত কর্মসূচী এবং পরিকল্পনা এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চট্টগ্রামে অবস্থিত ‘টাওয়ার ৭১’ ও ‘জয়বাংলা' বাণিজ্যিক ভবনের কাজের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
[৭] যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধোদের পুনর্বাসন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ফান্ড’ এর তহবিল গঠনে কোন কোন উৎসকে প্রতিষ্ঠার সময়ে নির্ধারন করা হয়েছিল মন্ত্রণালয়কে তার বিবরণী আগামী বৈঠকে সবিস্তারে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
[৮] মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত হাসপাতালের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করানো হলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করাসহ ঔষধ খরচ বাবদ নির্ধারিত ৫০ হাজার টাকা থেকে উন্নীত করে ৭৫ হাজার টাকায় নির্ধারন এবং বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে শতভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনামূল্যেকরণ বিষয়ক সংশোধিত নীতিমালাটি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
[৯] বৈঠকে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে অনুষ্ঠান নির্ধারনের লক্ষ্যে সভাপতি শাজাহান খানকে আহবায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
[১০] বৈঠকে কিছু জায়গায় বিভিন্ন দিবসে স্বাধীনতা বিরোধীদের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সম্পর্কিত ঘটনার সমাধানের লক্ষ্যে সমস্যার বিবরণী তুলে ধরে একটি সারসংক্ষেপ ক্যাবিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বৈঠকে গৃহীত হয়।
[১১] পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধােেদর সংজ্ঞা সংগ্রহকরণের সুপারিশ করা হয়।
[১২] শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার প্রদানের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন করা এবং মহিলা ইউএনওর বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :