মিনহাজুল আবেদীন: [২] সীমান্তের পর রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে আবারো বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। দিনে দিনে ভয়াবহ হচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার। সেই সঙ্গে সংক্রমণও উর্ধগতি।
[৩] ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, সংক্রমণের হার আগের চেয়ে আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণের হার আগে যেমন নি¤œমুখি ছিলো সেটি আবার বেড়ে ১০ শতাংশ এর ওপরে চলে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে কাজ করেছিলো আমাদেরকেও এই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলা করতে হবে এটাই কিন্তু সাইন্স বলে।
[৪] বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সংক্রমণ যেনো না ছড়াতে পারে তার জন্য এখনই সরকারকে ব্যাবস্থা নেয়া উচিত।
[৫] জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান বলেন, সব রোগী যদি একসঙ্গে হাসপাতালে আসে তাহলে হাসপাতালে সিট সংকট দেখা দিবে। এজন্য রোগীদের একবারে বেশি খারাপ অবস্থা না হলে হাসপাতালে আসা দরকার নেই। এতে কেউই ঠিকমত সেবা পাবে না। আর এইটা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে লকডাউন এবং টেস্ট আইসোলেশনটা বাড়িয়ে গণ জমায়েত বন্ধ করে চলাচল সীমিত করতে হবে। যাতে করে সংক্রমণ দ্রæত ছড়াতে না পারে।
[৬] রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট তথ্য মতে, সংক্রমিত বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের চারটি ধরন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :