শিমুল মাহমুদ: [২] দ্বিতীয় দফায় চীন সরকারের এ উপহার রোববার বিকেলে দুটি সি-১৩০ বিমানে করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান। টিকার সঙ্গে আসবে কিছু চিকিৎসাসামগ্রীও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ উপহার গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
[৩] তবে উপহার নয়, আমদানি ও উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৪] এর আগে সেরাম থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হলেও মহামারীর করাল গ্রাসে পড়লে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। ফলে বাংলাদেশ ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার পর আর পায়নি। এরপর সরকার টিকার জন্য চীনের দিকে হাত বাড়ায়। চীন গত ১২ মে প্রথমে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠায়, যা ২৫ মে প্রয়োগ শুরু হয়।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা টিকা উৎপাদনের আলোচনাও চালাচ্ছে। এর বাইরে রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকা আমদানি এবং যৌথ উৎপাদনের আলোচনাও চলছে।
[৬] জনস্বাস্থ্য ও সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহেদ মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, টিকার বিষয়ে আমার ওভার-কনফিডেন্ট ছিলাম। আমরা বেশ কিছু টিকা অর্ডার দিয়ে এবং কিছু টিকা পাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে বেশ হেসেখেলে বেড়াছিলাম। এক পর্যায়ে দেখা গেলো, সে আশায় গুড়েবালি।
[৭] তিনি বলেন, যে টিকা আমরা পেয়েছি- এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনাও করা যায় না। আমার দরকার ১৩ কোটি টিকা। এর আগে উপহারসহ এক কোটির মতো পেয়েছি। বিতরণ করতে গিয়ে ক্যালকুলেশনে আবার ভুল করলাম। যার কারণে ১৫ লাখ লোক এখনো দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়। আমাদের হাতে তো কিছু নেই। দুই পারসেন্ট কিংবা তিন পারসেন্ট টিকা কোনো ধরনের ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে না করোনা প্রতিরোধে।
[৮] বক্ষব্যাধি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. রুমি আহমেদ খান বলেন, যেসব দেশ তাদের জনসংখ্যার ৫০ ভাগ মানুষকে অন্তত এক ডোজ টিকা দিতে পেরেছে; সেসব দেশে সংক্রমণের হার নেমে এসছে। তিনটা দেশ এখন পর্যন্ত এক ডোজ ভ্যাকসিনে এগিয়ে আছে, একটি হচ্ছে কানাডা, ইউকে, ইসরাইল। এদের সংক্রমণ কমে এসেছে। বড় একটি সংখ্যা টিকা দিতে না পারলে সংক্রমণ কমবে না। আর করোনা টিকা নিশ্চিত করা না গেলে বন্ধ হতে পারে বহু দেশের শ্রমবাজার। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :