নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় উঠে আসা কিছু সুপারিশ এবং বক্তব্য সামগ্রিকভাবে দেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ।
[৩] বিশেষ করে চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য একটা বেসরকারি সংগঠনের পূর্বানুমতি নেয়ার দাবিটি যেমন নিয়মের বাইরে , তেমনই অযৌক্তিক। এছাড়া সভায় উঠে আসা 'অনুদানের ছবিতে শুধু আর্ট ফিল্ম নয়, এখন বাণিজ্যিক ছবির সংখ্যা বাড়ানো হবে' বক্তব্যটি অনুদান নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে হচ্ছে।
[৪] বাণিজ্যিক ছবির প্রযোজনায় কেন জনগণের অর্থ ব্যয় হবে তার ব্যাখ্যাও স্পস্ট নয়, তেমনি কেন ২০টি প্রেক্ষাগৃহে এসব ছবি মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে নির্মাতার কেন বাধ্যবাধকতা থাকবে তারও কোনও ব্যাখ্যা নেই।
[৫] শিল্প-সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যদি ব্যবসার অংশে পরিণত করা হয় তবে তা হবে স্বেচ্ছাচারী এবং অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। এখন আমাদের সকলেরই উচিত জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালাকে সামনে এনে সেই ভিত্তিতে চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশকে ত্বরান্বিত করা।
[৬] তরুণ নির্মাতাগণ ইতোমধ্যেই তাঁদের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অনেক সুনাম এবং পুরস্কার অর্জন করেছেন। অযৌক্তিক বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আটকে না রেখে সরকারের উচিত হবে এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য সহায়তা দেয়া।
[৭] বিবৃতি দেয়া সংগঠনসমূহগুলো হলো, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ, বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট, ঢাকা ডকল্যাব, ফিল্ম উইদাউট ফিল্ম।
আপনার মতামত লিখুন :