শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২১, ০৬:৩৩ বিকাল
আপডেট : ১২ জুন, ২০২১, ০৬:৩৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহমেদ আফরোজ: বিপ্লবী লীলা নাগের পৈত্রিক বাড়ি রক্ষার আহবান জানাই

আহমেদ আফরোজ: ছবি তিনটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী ও প্রথম স্নাতোকোত্তর, উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি নারী সাংবাদিক জয়শ্রী পত্রিকার সম্পাদক নারী জাগরণের কিংবদন্তি লীলা নাগের পৈত্রিক বাড়ির। তাঁর স্মৃতিবিজরিত ঐতিহাসিক ঘরের প্রথম ছবিটা ২০১৯ এর জুনের। পিতা গিরিশ চন্দ্র নাগের নির্মিত লোহার খুটি ইটের দেয়াল আর টালির ছাদের কাঠামোটা তখন জড়াজীর্ণ। দ্বিতীয় ছবিটি ২০২০ এর জুনের। ঘরটি ভাঙা শুরু হয়েছে। আর তৃতীয় ছবিটি দু’দিন আগের। বছরের মাথায় পরিকল্পিতভাবে ঘরটি নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও–এ লীলা নাগের পৈতৃক বাড়িটি বেহাত হয়েছে অনেক দিন। পাঁচগাঁও গণহত্যার মূলহোতা, মানবতা বিরোধী অপরাধের অন্যতম অভিযুক্ত প্রয়াত আলাউদ্দিন এর উত্তরপ্রজন্মরা এখন বাড়িটি ভোগদখলে আছেন। আলাউদ্দিন দেশের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান সাহেবের আপন মামা।

পাকিস্থান শাসনামলে লীলা নাগের পরিবার কলকাতায় পাড়ি জমালে ৫.৯৭ একর জমির বাড়িটি দখল করেন আলাউদ্দিন। ১৯৮৮ সালে তিনি আদালতে ১৪৫/১৯৮৮ নাম্বার স্বত্ত মামলা করলে আদালত সেটি খারিজ করেন। ১৯৯০ সালে আপিল (নং ১০৮/১৯৯০) করলে সেটিও খারিজ হয়। তারপর ২০০০ সালে হাইকোর্ট বিভাগে ২৭২৫/২০০০ নং সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের হয়। সরকারি উকিলের অবহেলায় সেটি পরে আছে আজ ২১ বছর।

শতাব্দীর স্মারক হিসেবে ঘরটি সংরক্ষণ ও বাড়িটি উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ এবং লীলা নাগ স্মৃতি পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। তৎপর রয়েছেন জেলার সাংবাদিক শিল্প-সংস্কৃতির মানুষও। এর প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৮ জুন মৌলভীবাজার জেলা প্রসাশনের ৮৯০ নং স্মারকে সরকারি কৌঁসুলি কাছে মামলার অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন জবাব দেননি।

ঐতিহ্যবাহী ঘরটি যাতে দখলদাররা না ভাঙে সেজন্য জেলা প্রশাসন ও রাজনগর উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। গত বছর জুলাইয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান বাড়িটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু কেউ রক্ষা করতে পারেনি। বছরের মাথায় সেটি নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।

বিপ্লবী এই নারীর ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গত শুক্রবার। মহান এই মানুষটির বাড়ি উদ্ধার করে শিক্ষা—সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গড়ার দাবি জানাচ্ছি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়