রতন কুমার রায়: [২] কৃত্রিম সারের অপরিকল্পিত ব্যবহারে মাটির উর্বরতা শক্তি কম হওয়া, কৃষি উৎপাদনে অধিক অর্থ ব্যয় রোধ ও মাটির গুণগত মান ঠিক রাখতে নীলফামারীর ডোমার ভিত্তি বীজআলু খামারে(বিএডিসি) ব্যাপক হারে ধইঞ্চা চাষ করা হয়েছে। ধইঞ্চা চাষের ব্যাপারে ডোমার ভিত্তি বীজআলু খামারের(বিএডিসি) উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা জানান, খাদ্যশষ্য গাছের জীবনচক্র সঠিকভাবে সম্পন্ন করনে ১৭টি খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ। এসব খাদ্য উপাদান বাতাস ও মাটি থেকে সংগ্রহ করে পাতা তৈরি করে ধইঞ্চা গাছ।
[৩] তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে খামারের(ফার্ম) ৩শত ৫০একর জমিতে ধইঞ্চা চাষ করা হয়েছে। সাধারণত ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধেই প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে জমিনের খাদ্য উপযোগী হয়। মাটির জীবনীশক্তি পুনরুদ্ধার,কাঙ্খিত উৎপাদন,পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা,জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, মাটির স্বাস্থ্যরক্ষা এবং জৈবসার হিসেবেও ধইঞ্চা ব্যবহৃত হয়।
[৪] ধইঞ্চা হেক্টর প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টন উৎপাদন হয়। যা ১০০ হতে ১৫০ কেজি নাইট্রোজেন সরবরাহ করে। এতে ২২০ থেকে ২৫০ কেজি ইউরিয়া সারের সমান কাজ হয়। কৃষকরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে উপকৃত হবে। প্রকৃতপক্ষে রাসায়নিক সার ও কিটনাশকের ব্যবহার কমাতে এই উদ্যোগ বলে জানান বিএডিসি কর্মকর্তা। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :