সালেহ্ বিপ্লব: করোনা ভাইরাসের মধ্যেই শুরু হলো ইউরো কাপ। তারকাখচিত ২৪ দলের এই প্রতিযোগিতা চলবে আগামী এক মাস। মোট ৫০টি ম্যাচ খেলা হবে।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা ছিল গত বছরই। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা হতে পারেনি। এবার করোনা সামলে ইউরোপের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা মাঠে গড়ালো। নেচে-গেয়ে-আতশবাশি পুড়িয়ে হলো এর উদ্বোধন। আর উদ্বোধনী ম্যাচে তো ‘এ’ গ্রুপে ইতালি নিজেদের মুন্সিয়ানা দেখালো। একচেটিয়া খেলে ম্যাচ জিতে নিয়েছে।
১৯৬৮ সালের ইউরোতে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। ২০০০ ও ২০১২ সালে হতে হয়েছে রানার্সআপ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ইতালির অবস্থান ৭-এ। তুরস্ক ২৯ তম। র্যাংঙ্কিংয়ের মতো মাঠের পারফরম্যান্সেও ইতালি অনেক এগিয়ে। যদিও প্রথমার্ধে রবার্তোর মানচিনির দলকে গোল করতে দেয়নি তুরস্ক। গোল পোস্ট অক্ষত রেখেছে।
রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় শুক্রবার রাতে বল দখলে রেখে ১৭ মিনিটে ইতালি প্রথম আক্রমণে যায়। ইনসিনিয়ের জোরালো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।২১ মিনিটে ইতালির পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। পরের মিনিটে কর্নার থেকে কিয়েলিনির হেড গোলকিপার লাফিয়ে উঠে কোনোমতে রক্ষা করেন। ৩৩ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে ইমোবিলের শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়।
গোলশুন্য স্কোরলাইন রেখে বিরতির পর ইতালির ভাগ্য সুপ্রসন্ন। ৫৩ মিনিটে প্রথম গোল আসে। বেরার্দির ক্রসটি তুরস্কের মেরি ডেমিরাল ক্লিয়ার করতে গিয়ে জালে জড়িয়ে দেন!
৫৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারতো। লোকাতেল্লির বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট গোলকিপার ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। স্পাইনোজোলার শট গোলকিপার ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে ইমোবিলে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি।
৭৯ মিনিটে ৩-০। ইনসিনিয়ে ফাঁকায় থেকে বক্সের ভিতরে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেছেন। এই নিয়ে রবার্তোর মানিচিনির দল টানা ২৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অপরাজিত থাকলো।
আপনার মতামত লিখুন :