আব্দুল্লাহ মামুন: [২] বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, শ্রীলংঙ্কা সরকারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি, তবে সামষ্টিক আয় খারাপ-ভালো হতেই পারে। বিগত সময়ে শ্রীলংঙ্কার রাজনৈতিক সংকট, চীনের সঙ্গে কিছু সমস্যা ও ঋণের বোঝা বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শ্রিলংঙ্কাকে ঋণ প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ।
[৩] আমাদের রিজার্ভ কেন্দ্রীয় ব্যাংকেগুলোতে স্বল্পসুদে রাখা হয়, যা তরল টাকা ও স্বল্প মেয়াদী সম্পদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। সেই তুলনায় এই ঋণের সুদ ২ শতাংশ হলেও অনেক বেশি এবং এর সঙ্গে ঝুঁকিও অনেক বেশি।
[৪] ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এই ঋণের বিপরীতে সিকিউরিটি হিসেবে বাংলাদেশ পাচ্ছে শ্রিলংঙ্কান কারেনসি, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যবহার হয় না। শ্রিলংঙ্কা ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে বিপদে পড়তে হবে, কারণ তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যও কম। বাণিজ্য বেশি থাকলে এই কারেন্সি ব্যবহার করা সম্ভব হতো। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান