কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এই সহায়তার মধ্য দিয়ে মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট স্বাস্থ্য সহায়তার পরিমাণ ৮৪ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
[৩] এই চালনটি ইউএসএআইডি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের জরুরি সেবা কার্যালয় এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী পেশাজীবীদের আমেরিকান কোম্পানি হেনরি শাইন ইনকের যৌথ অনুদান।
[৪] বাংলাদেশকে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা সর্বাধুনিক ১০০টি ভেন্টিলেটর এবং বাংলাদেশ যাতে নিজেরাই ভেন্টিলেটর উৎপাদন করতে পারে সে লক্ষ্যে গ্যাস অ্যানালাইজার দিয়েছিলো দেশটি।
[৫] মহামারির শুরু থেকে এই রোগ প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে এবং উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে এখন পর্যন্ত ৮৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে।
[৬] জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের সাম্প্রতিক সরবরাহগুলো বাংলাদেশকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মোট সহায়তার পরিমাণ আরো ২ মিলিয়ন বৃদ্ধি করল।
[৭] বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পিপিই, কেএন-৯৫ ও সার্জিকেল মাস্ক, ফেস শিল্ড, হ্যাজমেট স্যুট, গাউন, মেডিকেল গ্রেড হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সার্জিকেল গ্লাভস, গগলস সংগ্রহ করে সম্মুখসারির কর্মীদের বিতরণ করেছিলো দেশটি।
[৮] কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চাগুলো জোরদার করা, সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটানো, সম্মুখসারিতে থেকে যারা কাজ করছে, তাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞান বৃদ্ধিতে দেশটির এ সহযোগিতা কাজে লাগছে।