আব্দুল্লাহ মামুন: [২] জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক খান বলেন, বাষ্পায়ন যতো বেশি হবে মেঘের ফরমেশন ততো বেশি হবে। ফলে বজ্রপাতের ঘটনা আরও তীব্রতর হতে পারে। পৃথিবীর তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বেড়েছে। আমাদের শহরাঞ্চলে আরও ৩-৪ ডিগ্রি বেড়েছে।
[৩] তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে বন্যায় যে ক্ষতি হয় তার থেকে বেশি ক্ষতি হয় বাঁধ ভেঙে। এই বাঁধগুলো অনেক পুরনো যার কারণে এগুলো সংস্কার করা অতিজরুরি। একটি বাঁধ ভেঙে গেলে বহু মানুষের ক্ষতি হয়, কারণ ওই অঞ্চলগুলোতে জনসংখ্যা বেশি এবং তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত ফসল নষ্ট হয়।
[৪] আতিক খান বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শুধু সরকারি পর্যায়ে তাল গাছ রোপণ করা হচ্ছে। ব্যক্তি পর্যায় বা সামাজিকভাবে তালগাছ রোপণ করে বিভিন্ন অঞ্চলে যদি ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে বজ্রপাত নিরোধক হিসেবে কাজ করা সম্ভব।
[৫] বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা জরুরি যা আমাদের মধ্যে নেই। বজ্রপাতের সময় বিজলির আলো ও শব্দের দূরত্ব বেশি থাকলে বজ্রপাত দূরে হবে এবং দূরত্ব কম হলে বজ্রপাত কাছে হবে। এই প্রশিক্ষনটি স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে আমাদের কৃষকদের জানাতে হবে।
[৬] আবহওয়া বিশেষজ্ঞ বলেন, বজ্রপাত তার প্রাকৃতিক নিয়মে হবে, থামানো যাবে না, তবে বজ্রপাত থেকে রক্ষার কৌশলগুলো রপ্ত করতে হবে। বজ্রপাতের সময় বাহিরে যাওয়া যাবে না, কংক্রিটের স্থাপনার নিচে আশ্রয় নিতে হবে, বড় গাছ ও ইলেকট্রিক পোল থেকে দূরে থাকাসহ কৌশলগুলো রপ্ত করতে হবে।
[৭] পাশাপাশি গবেষণা করা হচ্ছে কোন সময়, কখন, কেন, কোথায়, কীভাবে বজ্রপাত হবে তার আগাম সর্তকতা পাঠানো সম্ভব। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান