শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ জুন, ২০২১, ০১:১৯ রাত
আপডেট : ১০ জুন, ২০২১, ০১:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১২৩ বছর আগে গ্রেপ্তার গাছ, শেকলে বন্দি আজো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানুষ যদি কোন অপরাধ করে তবে আইন অনুযায়ী পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু গাছকে কি গ্রেপ্তার করা যায়! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো!। কিন্তু এমন আজব ঘটনা গত ১২৩ বছর আগে হয়েছে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের একটি বট গাছ ১২৩ বছর ধরে গ্রেপ্তার জীবন পার করছে। ১৮৯৮ সালে পাকিস্তানের তোরখান সীমান্ত এলাকার লানদি কোটাল শহরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তার নাম জেমস স্কুইড নামে এক মাতাল ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা এই আজব ঘটনা ঘটান।

পেশোয়ারে গেলে এই গাছ এখনও দেখতে পাবেন সকলে। তবে কেন বন্দী করা হয়েছিল একটি গাছকে? জানা গেছে, শোনা যায়, ওই ক্যান্টনমেন্টে ব্রিটিশ সেনা অফিসার জেমস স্কুইড নাকি মদ খেয়ে নেশা করেছিলেন এক দিন। সেই নেশার ঘোরে হাঁটার সময় দেখতে পান, বটগাছটি তার দিকে তেড়ে আসছে। ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে সে অফিসারের হুকুম, অ্যারেস্ট করা হোক গাছটিকে। হুকুম মতোই কাজ হলো। পাইক-পেয়াদারা ছুটে এসে আষ্টেপৃষ্ঠে শিকল পরিয়ে দিল অত বড় গাছটিকে।

তখন থেকেই নাকি শিকলে বাঁধা রয়েছে বেচারা বটগাছ। তারপরে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে। রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায় পাকিস্তান। নতুন সরকারের শাসন শুরু হয়। তারপরে কালের নিয়ম মেনেই কত সরকার বদলে গেল। কিন্তু গাছটির ভাগ্যে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এত বছর পরে, এখনও ওই বটগাছে একটি বোর্ড ঝুলছে। তাতে লেখা ‘আই অ্যাম আন্ডার অ্যারেস্ট’।

ওই এলাকার ৬০ বছর বয়সী আদিবাসী ইসলাম খান সিনওয়ারি বলেন, আমার দাদা ফাতেহ খান সিনওয়ারি আমাকে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা জেমস একজন নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি ১৮৯৮ সালে গাছটিকে শেকলে বন্দি করেন।

তিনি আরও জানান, এ গাছ তাদের পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা জোরপূর্বক তাদের কাছ থেকে এটি দখল করে রেখেছিল। বর্তমানে এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দখলে আছে। পর্যটকরা প্রায়ই গাছটি দেখতে আসেন।

কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেন, পাকিস্তান-আফগান সীমান্তের লান্ডি কোটালের উপজাতি সম্প্রদায়কে ভয় দেখাতেই বটগাছকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় ব্রিটিশরাজ। যাতে ওই এলাকার উপজাতিরা বুঝতে পারেন, কোনও রকম বিরুদ্ধাচারণ করলে, দরকারে এমন শাস্তি তাদেরও দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মুখতিয়ার দুরানি জানিয়েছেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক হলেও এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। ব্রিটিশ শাসনের সময় উপজাতি বহুল এই এলাকায় আইন কানুন কতটা ভয়াবহ ছিল, তার উদাহরণ হয়েই রয়েছে এই বন্দী বটগাছ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়