শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১০ জুন, ২০২১, ১২:৫১ রাত
আপডেট : ১০ জুন, ২০২১, ১২:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] শাজাহানপুরে পরপর দুটি আত্মহত্যা, ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন

আবদুল ওহাব: [২] বগুড়ার শাজাহানপুরে কয়েক দিনের ব্যাবধানে পরপর দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। একটি হলো মুবতাসিন ফুয়াদ প্রীতম (১৫) নামে এক ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং তার বাবা এনামুল হক বগুড়া সদর উপজেলার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। মা ইয়াসমিন বেগম তালপুকুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা।

তাদের বাড়ি উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের পদ্মপাড়া গ্রামে। বুধবার ৯ জুন এ ঘটনা ঘটে। তবে ময়না তদন্ত না করেই লাশ দাফন করা হয়েছে। নিহতের বাবা জানান, ছেলেকে ডাকতে গিযে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ছেলেকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশীরা জানান, সবসময় লেখাপড়ার জন্য ছেলেকে চাপ দিত বাবা মা। ছেলেটিও ভদ্র ছিল। তবে কি কারণে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে তা তারা জানেন না এবং ময়না তদন্ত ছাড়াই লাস দাফন করা হয়েছে।

[৩] উল্লেখ্য একইভাবে মাত্র কয়েকদিন আগে একই ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামে বর্ষা নামে ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এগারো বছরের এক মেয়ে সকলের অজান্তে ঘড়ের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়। তার বাবা একজন সরকারি চাকুরীজীবি এবং ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সেটিও ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

[৪] এ প্রসংগে শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুনের নিকট জানতে চাইলে তিনি দুটি আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বজনদের অভিযোগ না থাকলে বা পুলিশের চোখে সন্দেহজনক না হলে ময়না তদন্তের প্রয়োজন পড়ে না। অপরদিকে গতকালও উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের ক্ষন্ডক্ষেত্র গ্রামে মুরগির ফর্মে অবৈধভাবে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ায় ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীও মৃত্যু হয়। করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় ও বাবা মা দরিদ্র হওয়ায় শিশুটি সেখানে কাজ করছিল। খেলার ছলে বেড়ায় হাত লেগে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে শিশুটির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এমন অশ্রুস্বজল চোখে হাজারো মানুষের কান্না আর হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটলেও বিচার প্রার্থী হতে আগ্রহী নন পিতা মাতা।

[৫] অভিযোগ উঠেছে টাকার বিনিময় আর প্রভাবশালীদের চাপ রয়েছে পরিবারটির উপর। বিধায় মামলা করতে অস্বীকার করছে। এমনিভাবে অপরাধী হয়েও ধরা ছোয়ার বাইরে থাকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন অপরাধীরা। আর আইন যদি এ গতিতে চলে তবে অররাধীরা উৎসাহিত হবে না কি নিরুৎসাহিত হবে এমন প্রশ্ন সুশীল সমাজের। একইভাবে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে কি কারনে এভাবে একের এক আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এর পিছনের রহস্যই বা কি, এবং এগুলো সত্যিই আত্মহত্যা নাকি হত্যা। সে ঘটনার অন্তরালের ঘটনা উদঘাটন করতে এবং অপমৃত্যু রোধকল্পে ময়না তদন্ত করা অতি প্রয়োজন বলে মনে করছেন সমাজ সচেতনরা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়