সুজিৎ নন্দী: [২] স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, এনডিসি, পিএসসি বলেছেন, আমরা মনে করি কাজ করাটা সেবা, আমাদের প্রধান দায়িত্ব ও ধর্ম। সঠিক সময়ে, সঠিক দায়িত্ব পালন করি। আমরা সব সময়ই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাংগঠনিক ও টেকনিক্যাল উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আমাদের সব সময়ই স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতার মাধ্যমে কাজ করছি। করোনার সময় ছুটির দিনসহ আমরা দিন রাত পরিশ্রম করছি।
[৩] তিনি বলেন, ডিজাইন প্রায় একই রকম হবার কারণে এস্টিমেটে কলম চালানোর খুব প্রয়োজন পরে না। বলা যেতে পারে টাইপ ডিজাইন। এ খরচ আমাদের জানা আছে। এ কারণে আমাদের খরচ কম।
[৪] স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ডিএনসিসি’র মার্কেটের করোনা হাসপাতালটি আমরা খুবই কম সময়ে করেছি। এটি আমাদের একটি বড় অর্জন। করোনার সময় আমরা ২১টি জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয়ভাবে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি জেলা-উপজেলা ৪০টি হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সারাদেশে জিন এক্সপার্ট মেশিন (টিবি টেস্ট) স্থাপন করা হয়েছে। যা দিয়ে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে।
[৫] সীমান্ত এলাকাগুলোতে করোনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রকৌশলীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরায় আমরা ৫শ’ বেডের হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলছে। আমরা গ্রাম থেকে রাজধানী পর্যন্ত, স্বাস্থ্য ভবন তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণসহ সার্বিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকি।
[৬] তিনি আরো বলেন, এই মহুর্তে আমাদের জনবল ৫৫০জন। আগামীতে ১ হাজার জনবল হবে। আনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে সব উপজেলায় কাজের পাশাপাশি শিক্ষা অবকাঠামো ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আমরা করছি। আমাদের সব কাজই ই-জিপিতে হয়ে থাকে।
[৭] প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের লক্ষ্য সুস্পষ্ট। দেশের তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা আমাদের। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম আরও জোরদার করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের প্রধান শর্তই ছিল নিভৃত পল্লীতে এটি স্থাপিত হতে হবে। সমস্ত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে টেকসই, উন্নত নির্মাণ শৈলী ও যথাযথ মান বজায় রেখে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে উঠছে।
[৮] প্রধান প্রকৌশলী আরো বলেন স্বাস্থ্যখাতে জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে। সেটি হলো সঠিক মান বজায় রেখে যথাসময়ে সব কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ করা। অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারি সে লক্ষ্যেই দায়িত্ব পালন করছেন। তা ছাড়া এর আগে বিভিন্ন সময়ে চ্যালেঞ্জ নিয়েই সফল হয়েছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
[৯] জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিউনিটি ক্লিনিক সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি। আগামী বছরের শেষে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭ হাজার। দেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের তুলনায় জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকায় গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক ভাবে কাজ করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
আপনার মতামত লিখুন :