শিরোনাম
◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২১, ০২:২১ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২১, ০২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মিয়ানমারে ব্যাপক প্রাণহানির ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ, জাতিসংঘের সতর্কতা

লিহান লিমা: [২] মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলের কায়াহ রাজ্যে সেনবাহিনীর ‘নৃশংস ও নির্বিচার হামলার’ শিকার হয়ে প্রায় এক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তারা বন-জঙ্গল ও পাশ্ববর্তী শান রাজ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তাতে এই মানুষরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপত্তার সন্ধান করতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। আল জাজিরা

[৩] জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানায়, সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, পানি, আশ্রয়, জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন। কিন্তু সৈন্যরা প্রকাশ্য রাস্তায় ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছে ও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করে ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে বাঁধা দিচ্ছে। সেনাবাহিনী মানবাধিকার কর্মীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে ও হুমকি দিয়েছে।

[৪]বুধবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টার টম অ্যান্ডুস জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যূত্থানের পর এই পরিস্থিতি আর দেখা যায় নি। কায়াহ, চিন ও কারেন রাজ্যে সেনাবাহিনীর উপর্যুপরি হামলায় হাজারো নারী, পুরুষ ও শিশুর জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। রোগ, অনাহার ও বিরুপ পরিস্থিতি ব্যাপক প্রাণহানির ঝুঁকিতে পড়েছেন শতশত মানুষ।’

[৫]তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘ সদস্যদেশগুলোকে অতি শীঘ্রই ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য রাস্তাঘাট খুলে দেয়া ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা, গোলাগুলি বন্ধ করার জন্য জান্তা সরকারের নেতা মিন অং হ্লিয়াংয়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। জনগণের বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের এই নৃশংস আক্রমণ বন্ধের জন্য তারা যে সম্পদের ওপর নির্ভরশীল তা আটকাতে হবে।

[৬]গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যূত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চলছে। প্রতিদিনকার বিক্ষোভ ও সহিংসতায় দেশটির অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠির সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত ৮৪৯জনকে হত্যা করেছে ও ৫ হাজার ৮’শ জনকে আটক করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়