অনলাইন ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন।
সোমবার তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে একটি টুইট করেন।
টুইটে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, তৃণমূল ভবনে প্রথম দিনে মাননীয় সাংসদ ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা ও যুব সংগঠন নিয়ে আলোচনা হলো, তার সুপরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ও সর্বস্তরের কর্মীদের আবেগকে সম্মান জানিয়ে দিদির উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখব।
এর আগে সায়নী ঘোষের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে নিন্দা জানান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন সায়নিকে গুরুত্ব দিয়ে কি তৃণমূল হিন্দুদের অপমান করতে চাইছে। তার এ বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সায়নী ঘোষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় হিন্দু-মুসলমান ভাগাভাগি চলে না। সেটা ভোটের রায়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেউ যদি হারের পরেও না শেখে তবে কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, গোটা ভোট পর্বেই তো বিজেপি এই সব বলেছে। কিন্তু মানুষের রায় বলে দিয়েছে বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলে না। কে কী টুইট করল তাতে কিছু এসে যায় না।
সোমবার তথাগত টুইটবার্তায় লেখেন, ‘শিবলিঙ্গে কনডম পরিয়ে (কবে পরিয়েছিলেন সেটা অবান্তর) আমার মতন তাবৎ হিন্দুকে, বিশেষত শিবভক্তদের, চরম অপমান করেছেন সায়নী ঘোষ। তাকে উত্তরোত্তর সম্মান দিয়ে হিন্দুদের কি বলতে চাইছেন মমতা? আমি ভোটে জিতেছি, এবার যা খুশি করব। তোরা অসহায় হিন্দুরা কি করতে পারিস?’
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি গ্রাফিক শেয়ার হয়েছিল। একটি শিবলিঙ্গের ছবি। তাতে কনডম পরাচ্ছেন এক নারী। গ্রাফিক থেকে বোঝা যাচ্ছে, মহিলাকে এইডস সচেতনতার বিজ্ঞাপনের ম্যাসকট ‘বুলাদি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রাফিকের ভিতরে লেখা, ‘বুলাদির শিবরাত্রি’। পোস্টের ক্যাপশনে ছিল, ‘এর থেকে বেশি কার্যকরী হতে পারেন না ঈশ্বর’।
সেই পোস্টের ৬ বছর পরে গত ১৬ জানুয়ারি মাসে সায়নির বিরুদ্ধে কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা ও উত্তর-পূর্বের ৩ রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি শিবের ভক্ত। ১৯৯৬ সালে শিবের পুজো দেওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা করেছিলাম। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের এই ছবিটি দেখে আমার ধর্মীয় ভাবাবেগ আহত হয়েছে। আমার আবেদন, আপনারা এই বিষয়ে তদন্ত করে সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।’
ওই সময় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে তার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। তিনি দেখার পরই ওই বিতর্কিত পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছিলেন। যদিও তাতে বিতর্ক থামেনি। বিধানসভা নির্বাচন পর্বে বারবার এই প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষে আক্রমণ করা হয় আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী সায়নীর বিরুদ্ধে।
আপনার মতামত লিখুন :