আমিরুল ইসলাম: [২] সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকার সঙ্গে যুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে অর্পণ করা হলে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান ইসির একটি বৃহৎ অংশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত হবে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
[৩] ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও ব্যবহারে জটিলতা সৃষ্টি হবে।
[৪] সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার দায়িত্ব কমিশনের। বিদ্যমান আইনে এর ভাগিদার অন্য কোনো সংস্থাকে করা যাবে না।
[৫] কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে চাইলে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গঠন করে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে অবকাঠামো তৈরি করে তা করা উচিত।
[৬] সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কোনোভাবেই সরকার স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিতে পারে না। তাদের জনবল, অবকাঠামো ও নির্বাচনের ডাটাবেজ সরকারের কাছে হস্তান্তর করার মাধ্যমে সংবিধানের ওপর একটি নগ্ন হামলা হবে।
[৭] এনআইডি কার্যক্রম হস্তান্তর করা হলে ভোটার ডাটাবেজের নিয়ন্ত্রণ সরকারের কাছে চলে যাবে। এতে বিভিন্ন রকম কারসাজি ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আপনার মতামত লিখুন :