ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড ছড়িয়ে পড়ায় তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন। প্রেস টিভি
[৩] ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা বেশিরভাগই দিন মজুরের কাজ করে। কোভিড লকডাউনের কারণে তারা কাজ পাচ্ছে না। এছাড়াও যারা বিভিন্ন পেশায় কাজ করতো কোভিডের কারণে তারা সেই কাজও হারিয়েছে। ফলে তারা ক্ষুধা, অনাহারসহ বিভিন্ন কষ্টে পড়েছে।
[৪] ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের স্যানিটাইজার, খাবার কোনো কিছুই সরবরাহ করা হচ্ছে না।
[৫] অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ভারত সরকার যদি তাদের দিকে দৃষ্টি না দেন। তারা যদি ঠিক মত কোভিডের চিকিৎসা না পায় তাহলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মানবিক বিপর্যয় ঘটবে।
[৬] ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনাবাহিনীর ভয়াবহ অভিযানের পর গত কয়েক বছরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা জম্মুতে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলের বস্তিতে বসবাস করছে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। ধারণা করা হয় এদের বেশিরভাগেরই কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই।
[৭] বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল হোসেন ডয়েচে ভেলেকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সব কিছু জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হয়। জাতিসংঘ ভ্যাকসিন দিলে রোহিঙ্গাদের ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তাদের বিনামূল্যে মাস্ক দেয়া হচ্ছে, হ্যান্ড স্যনিটাইজরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :