শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০৭ জুন, ২০২১, ০৫:৩৭ সকাল
আপডেট : ০৭ জুন, ২০২১, ০৫:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্যান্য সেবা বন্ধ সীমান্তবর্তী হাসপাতালগুলোতে

নিউজ ডেস্ক: দেশের সীমান্তবর্তী জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে কভিড-১৯ রোগের সেবার পরিধি বাড়াতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার বাইরে কেবল জরুরি সেবা চালু রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল দুপুরে এক অলনাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সব সীমান্ত এলাকার হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ছাড়া কোনো রোগী যেন ভর্তি করা না হয়, সে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী হাসপাতালের জন্যও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গোটা হাসপাতালই যেন করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত বা বিশেষায়িত করে দেয়া যায়, সে প্রস্তুতিও রাখতে বলা হয়েছে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১ হাজার ৬৭৬ জনের শরীরে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় আরো ৩৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী মারা যায়। এতে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯০ জন ও মারা গেছে ১২ হাজার ৮৩৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০৯টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ৬১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৪ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

গতকাল মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩১ জন সরকারি ও ছয়জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ২৩ জন ষাটোর্ধ্ব। বাকিদের মধ্যে নয়জন ৫১ থেকে ৬০ বছর, দুজন ৪১ থেকে ৫০, তিনজন ৩১ থেকে ৪০ ও একজন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। বিভাগভিত্তিক হিসাবে মৃতদের মধ্যে চারজন ঢাকা, ১২ জন চট্টগ্রাম, চারজন রাজশাহী, ছয়জন খুলনা, একজন বরিশাল, তিনজন সিলেট, পাঁচজন রংপুর ও তিনজন ময়মনসিংহের বাসিন্দা। গতকাল পর্যন্ত মারা যাওয়া করোনা রোগীর মধ্যে ৯ হাজার ২৫৬ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৫৮৩ জন নারী।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষদিকে এসে সংক্রমণ কমলেও চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গতকাল পর্যন্ত ১ কোটি ৩৬ হাজার ৭১১ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৪২ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৬ জন। প্রথম ডোজ নিয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। সূত্র-বণিক বার্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়