শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২১, ০৩:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৬ জুন, ২০২১, ০৩:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাফুফেতে নেই টিভি স্বত্ব নীতি, নেই মার্কেটিং কমিটি, সম্প্রচারেই সন্তুষ্ট ক্লাবগুলো

স্পোর্টস ডেস্ক: [২] অনেক দেশের ফুটবল ফেডারেশনের আয়ের অন্যতম উৎস টিভি স্বত্ত ¡। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এই দিকে একেবারেই উদাসহীন। ৭ জুন, বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে দুই দেশে কয়েক কোটি মানুষের আগ্রহ। বাংলাদেশে এই ম্যাচটি সম্প্রচার করছে টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিনটি ম্যাচই বেসরকারি এই দু’টি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সম্প্রচার স্বত্ত¡ থেকে বাফুফের কেমন আয় হতে পারে এই প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘দু’টি টেলিভিশনের সঙ্গেই আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা এখান থেকে অর্থ পাওয়ার আশা করছি।

[৩] দেশের অন্যতম ক্রীড়া সংস্থা ক্রিকেট বোর্ডের আয়ের সিংহভাগই টিভি প্রচারস্বত্ত ¡। তারা বেশ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিলাম আহ্বান করে টিভি স্বত্ত ¡ বিক্রি করে। ক্রিকেট সাফল্যের কারণে চড়াদামে টিভি রাইটস বিক্রি করছে। ফুটবলে সাফল্য না থাকায় নিলাম বা দরপত্রে তেমন আগ্রহ নাও থাকতে পারে প্রতিষ্ঠানগুলোর। সেক্ষেত্রে বাফুফে নীতিমালা, পলিসি করে টিভি রাইটস কেনাবেচার করতে পারতো। তা না করে এখনো চলছে আলোচনা-সমঝোতার ভিত্তিতেই।

[৪] বাংলাদেশের তিনটি হোম ম্যাচ কাতারে খেলতে হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী তিন ম্যাচের টিভি স্বত্ত¡ বাংলাদেশেরই থাকার কথা। সেই হিসেবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের ভিউয়ারশিপ অনেক বেশিতে বিক্রি করার কথা বাফুফের। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক হতাশার কথাই শোনালেন, করোনার জন্য পুরো প্রক্রিয়াই উলট পালট হয়েছে। আমরা আয়োজন করলে গেট মানিও পেতাম, সেটাও নেই। কাতারের কাছেই এখন মূল রাইটস, তারাই প্রোডাকশন অন্য সব কিছু করছে। আমরা শুধু বাংলাদেশে প্রচার করার কর্তৃত্ব পেয়েছি।

[৫] পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পাওয়া গেল ভিন্ন তথ্য। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য তিন ম্যাচের মধ্যে ভারতের দুটি হোম ম্যাচ ছিল। সেই দুই ম্যাচের টিভি স্বত্ব অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভারতে সম্প্রচারের জন্য বাংলাদেশ থেকে তারা কিনেছে। হোম ম্যাচের স্বত্ব ভারত ফুটবল ফেডারেশনের কাছে থাকলেও তারা নিজ দেশের কোম্পানি ফুটবল ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের কাছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত টিভি রাইটস বিক্রি করেছে। ফলে কেনাবেচা করছে এখন সেই প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ম্যাচটি ভারত কিনেছে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক কোম্পানি স্পোর্টস পার্টনারের কাছে। এক সুত্রে জানা, সিঙ্গাপুরের কোম্পানি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও ভারতের ম্যাচগুলো কিনে সারা বিশ্বে বিক্রি করছে। ২০১৯ সালে ভারতে বাংলাদেশে অ্যাওয়ে ম্যাচের সময় বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুরের কোম্পানির কাছ থেকেই কিনতে হয়েছিল।

[৬] এর আগের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বাগতিক হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টিভি স্বত্বও কাজে লাগাতে পারেনি বাফুফে। ফিফা ফ্রেন্ডলি সহ আরো অনেক ম্যাচের টিভি স্বত্ত¡ পেশাদারভাবে বিক্রির সুযোগ থাকলেও বাফুফে সেই দিকে হাটে না। কোনো মতো টিভিতে ম্যাচ সম্প্রচার হলেই তৃপ্তির ঢেকুর উঠে। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতেই যখন এই অবস্থা তখন ঘরোয়া ফুটবলের করুণ চিত্র আরো স্বাভাবিক। ঘরোয়া ফুটবল লীগের অধিকাংশ ম্যাচ এখন একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করছে। ঘরোয়া লীগের টিভি স্বত্ত¡ থেকে ফেডারেশনের আয় কতটুকু আর সেই আয়ে ক্লাবগুলোর হিস্যাই কতটুকু? ফুটবল সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ক্লাবগুলো এই ব্যাপারে যেমন উদাসীন আর ফুটবল ফেডারেশন আয় ব্যয়ের চেয়ে লিগ সম্প্রচারেই সন্তুষ্ট।

[৭] টিভি স্বত্ত ¡ ছাড়াও স্পন্সরশিপ, ব্র্যান্ডিংসহ আরো অনেক বিষয় রয়েছে ফুটবল বিপণনে। দেশের ফুটবল লীগের সর্বোচ্চ আসর পেশাদার লিগ মাঝে চলেছে স্পন্সর ছাড়াই। আবার অনেক সময় দেখা যায়, অনেক টুর্নামেন্টে মিডিয়ার সমালোচনা এড়াতে নামকওয়াস্তের পৃষ্ঠপোষকতা জোগাড়,কখনো আবার আগের চেয়ে কম মূল্যে স্পন্সরশীপ প্রদান। যা সামগ্রিকভাবে ফেডারেশনের অপেশদারিত্বেরই বহিঃপ্রকাশ।

[৮] বাফুফে প্রায় বিশটি’র মতো উপ কমিটি থাকলেও নেই গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং কমিটি। দেশের এত বড় ফেডারেশনে গুরুত্বপূর্ণ কমিটি না থাকা প্রসঙ্গে ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য, আমাদের মার্কেটিং কমিটি না থাকলেও মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ রয়েছে। তিনি মার্কেটিং বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেন। মার্কেটিং সর্ম্পকিত বিষয়গুলো ফিন্যান্স কমিটিও খানিকটা দেখভাল করে। বাফুফের নির্বাহী কমিটির সামনে একটি মার্কেটিং কমিটি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

[৯] বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এক মেয়াদে ফিফার অন্যতম স্ট্যান্ডিং কমিটি টিভি এন্ড মার্কেটিংয়ে ছিলেন। নিজে ফিফার এমন একটি কমিটিতে থাকলেও তার নিজ সংস্থায় নেই মার্কেটিং কমিটি। বাফুফের বর্তমান নির্বাহী কমিটিতে অনেক কর্পোরেট ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। তারা বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বে থাকলেও মার্কেটিং কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তাও ছিল না। - ঢাকা পোষ্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়