শাহীন খন্দকার: [২] কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, পরার্মশক কমিটি কোভিড-১৯ চিকিৎসা গাইডলাইনে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রয়োজনীয় ওষুধের মজুত এবং স্টেরয়ডের যৌক্তিক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। তথ্য মতে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। ওষুধ সহজলভ্য করতে কাজ করছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
[৩] অধিদপ্তরের আরেক মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মিউকরমাইকোসিস বিরল রোগ। চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। যেসব ওষুধ লাগে সেগুলো কীভাবে সহজলভ্য করা যায় তা নিয়ে কাজ করছি। দ্রুতই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেয়া হবে।
[৪] ব্ল্যাক ফাঙ্গাস গাইডলাইন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, এ বিষয়ে অধিদপ্তর একটি ছোট গ্রুপ করে দিয়েছিল। তারা একটি খসড়া তৈরি করেছে। ওষুধের দাম কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোর্স তো একটাই। শুধু একটা কোম্পানিই এ ওষুধ তৈরি করছে। তাই অন্য কোম্পানিকেও এ ওষুধ তৈরির জন্য বলা হয়েছে। তাতে দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।
[৫] ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধ আমাদের দেশে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যেটা মিউকরমাকোসিসিসে কাজ করে, সেটা নেই। ওষুধ কোম্পানিগুলোকে তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে চোখ রাঙাচ্ছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যার নাম দিয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে দেশে এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হয়েছে। মাঝে নতুন শঙ্কার জন্ম দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মিউকরমাইকোসিস। তথ্যসূত্র বাংলা ট্রিবিউন
[৬] ডা. রোবেদ আমিন আরও বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে ভয়ের কারণ নেই। এটা আগে থেকেই ছিল। করোনা এটার শঙ্কা বাড়িয়েছে। বাংলাদেশে কিছু রোগী আগেও শনাক্ত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। আমরা মিউকরমাইকোসিসে একজন রোগী হারিয়েছি। অন্যরা চিকিৎসাধীন এবং তাদের অবস্থা ভালো।
তবে মিউকরমাইকোসিসকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব রোগী ডায়াবেটিস, ক্যানসারে আক্রান্ত (বিশেষ করে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত), যারা কেমো নিচ্ছেন, দীর্ঘমেয়াদী স্টেরয়েড নিচ্ছেন- এসব রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে। মা¯ক ব্যাবহারের পরে সঠিক ডিস্পোজাল নিশ্চিত করতে হবে।
[৭] ডা. মারুফুর রহমান বলেন, হাসপাতালগুলোতে সঠিকভাবে ডিজইনফেকশন মেইনটেইন করতে হবে। আইসিইউ বা অপারেশন কক্ষেও সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। যদিও আমাদের দেশে এখনও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন ব্যবহার করা হচ্ছে না, তথাপি যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোকে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
[৮] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বলেন, হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের সঙ্গে যে পানি দেওয়া হয় সেটাও শতভাগ বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। মানুষকে বোঝানোর জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে এর ওষুধের দাম কমানোর উদ্যোগও নিতে হবে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান