স্পোর্টস ডেস্ক: [২] দিনেশ কার্তিকের জাতীয় দলে অভিষেক সেই ২০০৪ সালে। কিন্তু কখনোই নিজের জায়গাটা সেরা একাদশে পাকাপোক্ত করতে পারেননি। উল্টো ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভালো খেলে ভারত দলের হয়ে প্রত্যাশার চাপ পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ বছরের শেষে এবং ২০২২ সালে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। কার্তিকের তাই লক্ষ্য এই দুই বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করা।
[৩] ২০১৮ সালে নিদহাস ট্রফিতে ফিনিশার হিসেবে দারুণ খেলেছেন কার্তিক। ত্রিদেশীয় এই সিরিজের ফাইনালে ৮ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একজন অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন।
[৪] এই বছরের শুরুতে ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নিজ দল তামিল নাডুকে চ্যাম্পিয়নও করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। যদিও ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত দলে জায়গা পেয়েও ৫ নম্বরে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারতে পারেনি। তাই কার্তিকের লক্ষ্য বয়স বেশি হলেও ফিটনেস টেস্টে ভালো করে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেয়া।
[৫] এক সাক্ষাতকারে কার্তিক বলেন, তারা যা দেখতে চায় তা বয়স নয় সেটা হলো আপনি কতটা ফিট। আপনি যদি ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করেন তবে এর অর্থ আপনি দেশের হয়ে খেলতে প্রস্তুত। আমার লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলা। এই বছর এবং পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে এবং আমি এর অংশ হতে যা যা করা দরকার সব করছি।
[৬] বর্তমানে ভারত দলে বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান মিডল অর্ডার দারুণ করছেন। বিশেষ করে হার্দিক পান্ডীযা কিংবা রবীন্দ্র জাদেজা এই জায়গাটায় কার্তিকের থেকে অনেক এগিয়ে। পুনরায় দলে জায়গা করে নেয়ার চ্যালেঞ্জাটা ভালোই জানা কার্তিকের। তবে তার বিশ্বাস টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার সামর্থ্য আছে।
[৭] এ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেন, আমি জানি আমি অতীতে ভালো করেছি এবং বিশ্বকাপের পরেও যখন আমি দল থেকে বাদ পড়েছিলাম, তখনও আমি ভেবেছিলাম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের পক্ষে আমি দুর্দান্তভাবে পারফর্ম করছি। কিন্তু বিশ্বকাপটা ভাল হয়নি বলে, আমাকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
আপনার মতামত লিখুন :