শাহীন খন্দকার: [২] বঙ্গোপসাগর সেন্ট মার্টিন এই দ্বীপের কেউ এখনো করোনায় আক্রান্ত হননি। সেখানকার মানুষের জীবনযাপনও স্বাভাবিক। টেকনাফ উপজেলার এই দ্বীপের লোকসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
[৩] দ্বীপের চারিদিকে খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত এই দ্বীপে বাইরের লোকজনের যাতায়াত নিষিদ্ধ থাকায় করোনা চোখরাঙাতে পারেনি বলে দাবি করেছেন, সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মাসুদুর রহমান। এদিকে কক্সবাজার পৌরসভায় করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ৩১ মে পর্যন্ত ৩ হাজার ২৪৫
জন করোনা রোগী নিয়ে জেলার শীর্ষে এই পৌরসভা।
[৪] দ্বিতীয় অবস্থান উখিয়ার। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৫০ জন এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা টেকনাফে করোনা রোগী ৯২৫ জন। কক্সবাজার পৌরসভার পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সংক্রমণরোধে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ৬ জুন পর্যন্ত এই দুই উপজেলায় কঠোর লকডাউন পালন করা হয়েছে। সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে কঠোর নজরদারির পাশাপাশি ৫টি রোহিঙ্গা শিবিরেও চলছে কঠোর লকডাউন। সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেলার ৮ উপজেলা ও তিন পৌরসভায় ৩১ মে পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৮ হাজার ৮৯০ জনের (এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৫৩০ জন রোহিঙ্গা)।
[৫] তাঁদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৮ জনের (রোহিঙ্গা ১ হাজার ২১৭ জন)। করোনায় মারা গেছেন ১১২ জন (রোহিঙ্গা ১৬জন)। রোহিঙ্গা ছাড়াও জেলায় ৯ হাজার ১৩১ জন করোনা রোগীর মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভাসহ সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৫৪৫ জন, উখিয়ায় ১ হাজার ২৫০ জন, টেকনাফে ৯২৫ জন, চকরিয়ায় ৭৬৫, রামুতে ৬৩৭, মহেশখালীতে ৬২৫, পেকুয়ায় ২৭৪ ও কুতুবদিয়ায় ১১০ জন। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া বলেন, শহরের লোকবসতি অনেক। সমুদ্রসৈকতের কয়েক কিলোমিটারে কয়েক দিনে ছুটিতে চার-পাঁচ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে, স্বাস্থ্যবিধিও মানা হয় না। এ কারণে সংক্রমণ বাড়ছে।