ইমরুল শাহেদ: আনন্দ বিচিত্রার ফটোসুন্দরী হিসেবে প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তি পাওয়ার আগেই আলোচনা শীর্ষে চলে আসেন মৌসুমী। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তি পাওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা চলে যায় আরো তুঙ্গে। জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি পারিশ্রমিকও বাড়িয়ে দেন। কিন্তু চলচ্চিত্রে সুযোগ দেওয়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘আনন্দমেলা’ কম পারিশ্রমিকে তাকে তিনটি ছবি সই করিয়ে রেখেছিল। কেয়ামত থেকে কেয়ামতের অভাবনীয় সাফল্যের পর মৌসুমী আর আগের পারিশ্রমিকে কাজ না করার কথা জানিয়ে দিলেন আনন্দমেলার দুই কর্ণধার সিরাজুল ইসলাম ও সুকুমার রঞ্জনকে।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মৌসুমীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন প্রযোজক সমিতিতে। তখন প্রযোজক সমিতির সভাপতি ছিলেন আজিজুর রহমান বুলি এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কেএমআর মঞ্জুর। সালিশের জন্য মৌসুমীকে ডাকা হলো প্রযোজক সমিতির কাকরাইলের অফিসে। কিন্তু মৌসুমী সেখানে আসতে রাজী নন। এতেই বেঁধে গেল গোল। যখন পরিস্থিতি মৌসুমীকে চলচ্চিত্রে নিষিদ্ধ করার পর্যায়ে চলে গেল তখন আনন্দ বিচিত্রার ফটোসুন্দরী হিসেবে তিনি ঘটনাটি আমাকে জানালেন। সুকুমার রঞ্জন এ ব্যাপারে একেবারেই অনমনীয়। তার কাছে তিন ছবির জন্য শিডিউলও দিয়ে রেখেছিলেন মৌসুমী। আনন্দমেলা সেই শিডিউলে কিছুতেই ছাড় দেবে না। মৌসুমী যদি আনন্দমেলার ছবিগুলো না করেন তাহলে তাকে ঘরে বসেই সময় ব্যয় করতে হবে।
বিষয়টা নিয়ে আমি আজিজুর রহমান বুলির সঙ্গে তার বাসায় বসেই কথা বললাম। তাকে বুঝাতে সক্ষম হলাম, শিডিউল দেখাশোনা করেন তার পিতা মনিরুজ্জামান। তিনি আসলেই আলোচনা এগুতে পারে। এখানে মৌসুমীকে কি দরকার? এছাড়া আগের চুক্তিতে যে পারিশ্রকের কথা উল্লেখ আছে, সে পারিশ্রমিকে মৌসুমী এখন কাজ করবে না। তাকে নিয়ে আনন্দমেলা কাজ করতে চাইলে বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পারিশ্রমিকই দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে বিচিত্রা ও আনন্দ বিচিত্রা মৌসুমীর পক্ষেই থাকবে। এতে প্রযোজক সমিতির যদি ক্ষতি হয় তাহলে বিচিত্রা ও আনন্দ বিচিত্রা প্রতিষ্ঠানের কোনো দায় থাকবে না। উল্লেখ্য, সভাপতি আজিজুর রহমান বুলি তার মেধা ও বুদ্ধিদীপ্ততা দিয়ে এই জটিলতা খুব সহজেই সমাধান করে দিয়েছিলেন। মৌসুমীকে পূর্বের চুক্তি অনুসারে আনন্দমেলার পরের ছবিগুলো আর করতে হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :