মিনহাজুল আবেদীন: [২] শুক্রবার বিবিসি বাংলায় সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য একটা কার্যকরী আইন দরকার, যাদি কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়।
[৩] তথ্য মতে, বাংলাদেশে ১০টা ইসলামি ধারার ব্যাংক রয়েছে। প্রচলিত ধারা এবং ইসলামি ধারার ব্যাংক ব্যবস্থার মূল পার্থক্য সুদ এবং মুনাফার ক্ষেত্রে।
[৪] ইসলামি ব্যাংক পর্যবেক্ষণের কেন্দ্রীয় শরিয়া বোর্ডের সদস্য ড. শমসের আলী বলেন, ইসলামি ব্যাংকে বিনিয়োগ করা এবং সেখানে থেকে লভ্যাংশ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অস্পষ্টতা নেই।
[৫] বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা ইসলামিক ব্যাংক উইন্ডো ইউনিট রয়েছে। তারা ইসলামিক ব্যাংকের কার্যক্রম দেখভাল করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে গাইডলাইন রয়েছে তার পরে আর নতুন করে ইসলামি আইন করার দরকার নেই।
[৬] এই ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য গাইডলাইন থাকলেও সেটা সংসদে পাশ হওয়া কোনো আইন নয়। ইসলামি ব্যাংকগুলো, কিছুটা শরিয়া এবং কিছুটা গাইডলাইন থেকে নিয়ম-নীতি নিয়ে মিশ্রভাবে ব্যাংক পরিচালনা করছে।
[৭] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষক সাদিয়া নুর খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ক্ষেত্রে ধর্মীয় আবেগটা বেশি কাজ করে। সুদ হারাম হলেও মুনাফা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য আর এটাই ইসলামি ব্যাংকগুলোকে জনপ্রিয় করে তুলছে।
[৮] তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মে বার বার সুদকে হারাম বলা হয়েছে। তবে মুসলিমরা চায় কোনওভাবেই তারা সুদের কারবারের সঙ্গে জড়িত হবে না। এই কারণে বাংলাদেশের মানুষের ইসলামি ব্যাংকিং এর দিকে ঝোঁকে।
[৯] আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক আইন করার চিন্তা-ভাবনা নেই। সেন্ট্রাল ব্যাংক হলো এই ব্যাংকগুলোর রেগুলেটরি ব্যাংক। আইন করতে হলে সেই প্রস্তাব অর্থমন্ত্রণালয় থেকে আসতে হবে। প্রস্তাব আসার পরে এর প্রয়োজনীয়তা, আইনটা সঠিক কিনা আইন বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয় সেটা দেখবে। তারপর সিন্ধান্ত নেয়া হবে। সম্পাদনা: মহসীন
আপনার মতামত লিখুন :