সেলিম রেজা: সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চন্দনগাঁতীতে গলায় ফাস দিয়ে মুরছালিন নামের এক স্কুল ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। নিহত স্কুল ছাত্র চন্দনগাঁতী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। সে সরকারি সোহাগপুর এসকে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে নিহতের স্বজনেরা সাংবাদিকদের বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর হামলাও করে তারা।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনগাঁতী গ্রামের শাহ আলমের বড় ছেলে মুরছালিন গলায় দড়ি পেচিয়ে নিজের শয়ন কক্ষে ঝুলতে থাকে। এ সময় তার মা ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়ির সবাইকে নিয়ে নামিয়ে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ৭১ টিভির বেলকুচি উপজেলা সংবাদদাতা উজ্জ্বল অধিকারী ও জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার বেলকুচি উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক বাবু উপর হামলা করে নিহত মুরছালিনের চাচা নয়ন। সাংবাদিকরা তাদের নিউজ সংগ্রহের জন্য ভিডিও ও ছবি তুলতে নিলে হামলা চালিয়ে মোবাইল মাটিতে ফেলে দেয়। ভিডিও করতে গেলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি সহ অশালীন কথা বার্তা বলেন। পরে ডিএসবি আব্দুর রশিদ গিয়ে নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসী আরো জানান, তিন দিন আগে তার মা মোবাইলে গেম খেলা নিষেধ করা ও মোবাইল কেড়ে নিলে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেয় মুরছালিন। পরে মার সাথে মনমালিন্য হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
সহকারী পুলিশ সুপার (বেলকুচি সার্কেল) সিদ্দিক আহমদ জানান, শুক্রবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনগাঁতী গ্রামে মুরছালিন নামে এক স্কুল ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু বরণ করেন এ নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি তাই পরিবারের কাছেই লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ধর্মীয় ভাবে তার সৎকার করা হবে। তবে সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলার ঘটনা দু:খজনক বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :