সমীরণ রায় : [২] টিপু মুনশি আরও বলেন, দিনে দিনে চায়ের উৎপাদন বাড়বে। কিন্তু রপ্তানি করা কঠিন হবে। কারণ দেশের মানুষ চা খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে আর একটি জিনিস উঠে এসেছে তা হলো তৃণমূলের মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্পর্শে চা-শিল্প উজ্জীবিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চা-বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালীন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শ্রমিক শ্রেণি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছে যা চা খাতকে সমাদৃত করেছে। বাজেট অধিবেশনের আগে কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী চা-রপ্তানির বিষয়েও কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি চা-পাতার নতুন নতুন আইটেম আনা, বাজেট বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
[৩] তিনি বলেন, চা-রপ্তানি করতে চাই। কিন্তু সেটা খুব কঠিন হবে। বৈজ্ঞানিক চিন্তা-চেতনা কাজ করছে। ৯৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড করেছি। হয়তো এ বছর কিংবা আগামী বছর এটা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে। বছর বছর হয়তো পাঁচ শতাংশ বা সাত শতাংশ উৎপাদন বাড়াতে পারবো। ধারণা দেওয়া হয়েছে, হয়তো একসময় চাহিদা মিটিয়ে ১১ মিলিয়ন কেজি চা-রপ্তানি করতে পারবো। সেটা কঠিন হবে। কারণ দেশের মানুষতো চা খেতে শুরু করেছে। যে মানুষ কোনোদিন চা খেতেন না সেও এখন তিন কাপ চা খান।
[৪] টিপু মুনশি বলেন, সাধারণ মানুষ চা খাওয়ার ব্যয় বহন করতে পারছে। ভাত, রুটি খাওয়ার অভ্যাস তো মানুষের আগেই ছিল। এখন চা খাওয়ার অভ্যাসটা গড়ে উঠেছে। তারা এখন তিন টাকা বা পাঁচ টাকা বা ১০ টাকায় চা খাচ্ছে। ফলে চায়ের ব্যবহারের পরিধি বাড়ছে। তাই সময় যত যাবে চা উৎপাদন বাড়বে, আবার ভোক্তাও বাড়বে। তাহলে রপ্তানি করবো কি করে। তবে চা রপ্তানির চেষ্টা করতে হবে। এখানে শুধু টাকা ফ্যাক্ট না, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চা গেলে আমাদের জন্য গর্বের হবে। দেশের পরিচিতি বাড়বে ও ব্র্যান্ডিং হবে।
[৫] শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা-বোর্ডের উদ্যোগে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, চা শিল্পের প্রসার’ স্লোগানে দেশে প্রথম জাতীয় চা দিবরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ চা বোর্ডের গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিটিআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নতজাতের ক্লোন বিটি-২২ ও বিটি-২৩ চা অবমুক্ত করেন।
[৬] এতে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বাংলাদেশ চা-বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ মঈনুদ্দীন হাসান ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :