কামরুল হাসান মামুন, ফেসবুক থেকে, বর্তমান ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা।
গত বছর ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
সংখ্যা দেখলে বরাদ্দ সামান্য বেড়েছে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি, নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ইত্যাদি ধরলে বরাদ্দ কমেছে। অথচ আমাদের মিডিয়া খুশি যে গতবারের চেয়ে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়িয়েছে। বলদ জনগণও খুশি নিশ্চই।
অথচ করোনার কারণে আমাদের শিক্ষার দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেটা মোকাবেলার জন্য উচিত ছিল গত বছরের চেয়ে ন্যূনতম দ্বিগুন বরাদ্দ দেওয়া। এমনিতেই ইউনেস্কোর পরামর্শ হলো শিক্ষা খাতে জিডিপির ছয় শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া। সেই জায়গায় আমাদের দেয় জিডিপির ২ থেকে ২.২ পার্সেন্ট।
শিক্ষা আর গবেষণায় জিডিপির ৪.৫ থেকে ৬% বরাদ্দ না দিয়ে পৃথিবীর কোন একটি দেশ উন্নত হয়েছে তার একটি উদাহরণ দেনতো দেখি। আমাদের সকল সমস্যার মুলে হলো সঠিক শিক্ষা ও গবেষণার অভাব। আজ তিন বছর যাবৎ অনবরত বলে যাচ্ছি শিক্ষায় যেন জিডিপির ন্যূনতম ৫.৫% বরাদ্দ দেয়। সরকারও শুনেনা আর জনগণও চাপ দেয় না। বলদশ্রেণীর জনগণ হলে যা হয় আর কি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবারকার বাজেটে বেসিক সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের মৌলিক গবেষণাকর্মে খরচের জন্য কংগ্রেসের কাছে ১০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন (সূত্র: Nature)। বুঝতে পারছেন আমেরিকা কেন আমেরিকা? চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরাইল কি এমনি এমনি উন্নত ও ক্ষমতাবান হচ্ছে? উন্নয়ন কি বিল্ডিং বানিয়ে হয়?
সুনাগরিক কিভাবে হয়? এক কথায় উত্তর: সুশিক্ষায়। এইটা কি এমনি এমনি হয়? উত্তর: সুশিক্ষা খুবই ব্যয়বহুল।
আপনার মতামত লিখুন :