শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২১, ০৪:২২ সকাল
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২১, ০৪:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা: ‘আমেরিকার উচিত আবু মোহাম্মদ আল-জুলানির সঙ্গে কো-অপারেট করা’

 মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা: পিবিএস ফ্রন্টলাইন আবু মোহাম্মদ আল-জুলানির একটা ইন্টারভিউ ভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে। ১৯৯৮ সালে এবিসি নিউজে বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার প্রচারের ২৩ বছর পর এই প্রথম ওয়েস্টার্ন কোনো টিভি চ্যানেলে আল-কায়েদার কোনো টপ নেতার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হলো। জুলানি ছিল আল-কায়েদার সিরিয়ান শাখা, জাবহাত আল-নুসরার প্রধান। ইরাক থেকে তাকে সিরিয়াতে এই দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিল ইসলামিক স্টেন ইন ইরাকের প্রধান, আবু বকর আল-বাগদাদি। নুসরা পরিচালনা করার জন্য বাগদাদি জুলানিকে প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার ডলার করে পাঠাতো।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে দুই সংগঠনের মধ্যে ফাটল ধরে। বাগদাদি দুই সংগঠনকে একত্রিত করে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া গঠন করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু জুলানি সেটা না মেনে শুধু সিরিয়া নিয়েই ফোকাসড থাকতে চায়। ফলে সে বাগদাদির নির্দেশ অমান্য করে মূল আল-কায়েদা নেতা আইমান আল-জাওয়াহিরির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।

এরপর থেকে জুলানির নেতৃত্বাধীন নুসরা একইসঙ্গে কখনো আইএসের বিরুদ্ধে, কখনো বাশারের বিরুদ্ধে, কখনো এমনকি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের মূল সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির বিরুদ্ধেও যুদ্ধ চালিয়ে গেছে। একসময় যখন জুলানি যখন বুঝতে পারে, তার আল-কায়েদা কানেকশন সিরিয়া যুদ্ধে তার লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করছে, তখন সে আল-কায়েদার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসে।

গত কয়েক বছর ধরেই জুলানি সিরিয়াতে বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিব নিয়ন্ত্রণ করছে। এখানে সে নেতৃত্ব দিচ্ছে সিরিয়ার ওপর ফোকাসড হাফ ন্যাশনালিস্টিক, হাফ জিহাদিস্ট কোয়ালিশন হাইআত তাহরির আশ-শামের। তার শাসনাধীনে বসবাস করছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ, যাদের অধিকাংশই শরণার্থী। এবং তাকে পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা।

সাক্ষাৎকারে জুলানি দাবি করছে, তারা পশ্চিমাদের শত্রু না, বন্ধু। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল সিরিয়াতে বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান ঘটানো এবং সেখানে ইসলামিক শাসনব্যবস্থা চালু করা। বর্তমানে অবশ্য সেটা আর সম্ভব না বলেই মনে হয়। বর্তমানে তাদের লক্ষ্য সম্ভবত ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা, ইদলিবকে অবরোধমুক্ত রাখা এবং এজন্যই তার এখন পশ্চিমাদের, বিশেষ করে আমেরিকার সাহায্য দরকার।

ডকুমেন্টারিতে তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে জুলানি বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেহেতু জুলানি এখনো আমেরিকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, তার মাথার মূল্য ১০ মিলিয়ন ডলার, তাই রাষ্ট্রদূতের পক্ষে ঝুঁকি নিয়ে তার অ্যাপ্রোচের রেসপন্স করা সম্ভব হয়নি। তবে ডকুমেন্টারিতে একজন টপ মার্কিন অফিশিয়ালের সাক্ষাৎকারও দেখানো হয়েছে, যিনি মনে করেন আমেরিকার উচিত জুলানির সঙ্গে কো-অপারেট করা। সব মিলিয়ে সাক্ষাৎকারটাকে জুলানির পিআর ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যেই জুলানি ছিল এককালে আইএস প্রধান বাগদাদির সেকেন্ড ইন কমান্ড, দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী জিহাদি নেতাদের মধ্যে একজন, সে যখন স্যুটকোট পরে ওয়েস্টার্ন টিভির সাথে সাক্ষাৎকার দেয়, তখন তার অন্য কোনো অর্থ এটাই হওয়ার কথা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়