লিহান লিমা: [২] দ্য গার্ডিয়ানের হস্তগত এক গোপন নথিতে জানা গিয়েছে, বর্ণবাদী নীতি থেকে কমপক্ষে ষাটের দশক পর্যন্ত জাতিগত সংখ্যালঘু, অভিবাসী বা বিদেশীদের রাজপরিবারে চাকরি দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিলো বাকিংহাম প্যালেস।
[৩] ইউকে ন্যাশনাল আর্কাইভের এই নথিতে দেখা গিয়েছে, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রধান আর্থিক ব্যবস্থাপক ১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ সিভিল সার্ভেন্টদের জানিয়েছিলেন, রাজপ্রাসাদের দাপ্তরিক পদগুলোতে অভিবাসী বা বিদেশীদের নিয়োগের রীতি নেই। তবে তাদের গৃহস্থালী কাজকর্মের জন্য নিয়োগ দেয়া যাবে।
[৪]বাকিংহাম প্যালেস কবে এই রীতি বন্ধ করে ছিলো তা জানা যায় নি। দ্য গার্ডিয়ান এ বিষয়ে প্রাসাদ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে উত্তর দিতে প্রত্যাখ্যান করে তারা। তবে প্যালেস কর্তৃপক্ষ দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে অনেককেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে নিয়োগকৃত স্টাফদের পরিচয়ের তথ্য রাখা হয় নি বলে জানায় তারা।
[৫]এই নথিতে আরো উঠে আসে, ১৯৭০ সালে যুক্তরাজ্যে বর্ণ ও লিঙ্গ সমতা আইন পাশ হলেও চার দশকেরও বেশি সময় ধরে রাণী এলিজাবেথকে এই আইনের বিধি থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ওই আইনে কাউকে তার পরিচয়ের জন্য কোনো কাজ থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ।
[৬]এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিটিশ রাজপরিবারের গায়ে বর্ণবাদের তোকমা লাগলো। এর আগে এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মের্কেল মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাতকারে এই অভিযোগ তুলেছিলেন। মেগান বলেন, অন্তসত্ত্বা থাকা অবস্থায় প্রাসাদে তার অনাগত সন্তানের গায়ের রং কি হবে তা নিয়ে কানাঘুষা হতো। ২০১৮ সালে হ্যারিকে বিয়ে করেন আফ্রো-আমেরিকান বংশোদ্ভুত সাবেক মার্কিন টিভি অভিনেত্রী মেগান। এই দম্পতি রাজপরিবার ছেড়ে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন।