জহিরুল ইসলাম : [২] করোনা মহামারির কারণে আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ১৪ দিনব্যাপী লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ১ম রাউন্ডের জন্য এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার।
[৩] এ সময় তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়, শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, সকল ধরনের মৃত্যু হার শতকরা ২৪ ভাগ হ্রাস করে, হাম জনিত মৃত্যু হার ৫০ ভাগ হ্রাস করে ও ডায়রিয়া জনিত মৃত্যু হার ৩৩ ভাগ হ্রাস করাসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
[৪] সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ম রাউন্ডে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জেলার ১ হাজার ৪৮১টি কেন্দ্রে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদরে ৫০৫টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০, রায়পুরে ২৬৫টি কেন্দ্রে ৪৮ হাজার ৫০, রামগঞ্জে ২৬৬টি কেন্দ্রে ৪৬ হাজার ৮৫, রামগতিতে ১৮৫টি কেন্দ্রে ৩৮ হাজার ৯০০, কমলনগরে ২১৭টি কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৩২৩ এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৪৩টি কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৯৫৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৩ হাজার ৩৪০ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫৭ জনসহ প্রায় ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে।
[৫] প্রথম সারির ১৮৪ জন সুপার ভাইজারের তত্তা¡বধানে জেলাজুড়ে ২ হাজার ৯৬৮ জন কর্মী কাজ করবেন। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী, এফ ডব্লিউ ডব্লিউ, সিএইচসিপি ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা রয়েছেন।
[৬] ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক। এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :