তন্ময় আলমগীর: [২] বারান্দায় তো আছেই, এমনকি শ্রেণিকক্ষেও রাখা হয়েছে ধান ও ধানের খড়ের স্তুপ। বারান্দায় গরুও বাঁধা হয়। এ যেন বিদ্যালয় নয়, কৃষি ঘর। এমন চিত্রই দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কুর্শ্বাখালী গ্রামে অবস্থিত আমেনা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
[৩] করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়টিকে তার গোলাঘরে পরিণত করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
[৪] শুধু তাই নয়, রাতের বেলায় বিদ্যালয়ের মাঠ ও ছাদে জুয়া খেলাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপও হয়। বিদ্যালয়ের ভবনসংলগ্ন শহীদ মিনারের বেদীও এসব কার্যকলাপ থেকে বাদ যায় না। বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর না থাকায় এর কিছু জায়গাও বেদখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
[৫] কুর্শ্বাখালী গ্রামের বাসিন্দা ছলিম উদ্দিনসহ আরও অনেকেই জানান, কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়টিকে যেভাবে খুশি সেভাবেই ব্যবহার করছেন। তিনি কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না। বিদ্যালয়ের ভিতরে নিয়মিতই ধান আর ধানের খড় রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে রাখেন। এ অবস্থায় সবসময় অপরিচ্ছন্ন থাকে পরিবেশ।
[৬] প্রধান শিক্ষক আয়শা আক্তার জানান, দ্বিতল ভবনের নির্মাণকাজের জন্য বিদ্যালয়ের চাবি সভাপতির কাছে দিয়ে রেখেছেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় প্রতিদিন খোঁজ রাখা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
[৭] বিদ্যালয়ের জমিদাতা প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক জানান, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ দিয়েও এসবের কোনো প্রতিকার মিলছে না। বিদ্যালয়টিকে সুশৃঙ্খল পরিবেশে আনার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
[]৮] তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আউয়াল। তিনি জানান, কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। বিদ্যালয়টি সঠিকভাবেই পরিচালিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :