আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] চাক কলিন্সের বয়স যখন ২৬ বছর ছিলো, তিনি তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সবকিছু সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতে কাজ করা গ্রুপগুলোকে দান করে দিয়েছিলেন। এই ধনী পরিবারের সন্তান বলছেন, কম বয়সেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, ধনীরা সমাজে কিভাবে অসাম্যের জন্ম দেয়। নিজের ধারণার উপর ভিত্তি করে ওয়াশিংটন ডিসি’র ইন্সটিটিউট অব পলিসি স্টাডির জেষ্ঠ্য এই গবেষক অতি ধনীদের গোপন খবর ফাঁস করতে একটি বই লিখেছেন। নাম ওয়েলথ হোরডার্স। ব্লিৎজ
[৩] তিনি ধনীদের দান করার প্রবলতার নাম দিয়েছেন সম্পদ প্রতিরক্ষা শিল্প। তিনি বলছেন, ইপদেষ্টা, আইনজীবি হিসাবরক্ষকদের একটা বাহিনী নিয়মিতই ধনীদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে। এজন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ভুঁয়া কোম্পানি, পারিবারিক অফিস, অফশোর অ্যাকাউন্ট এবং অতিধনীদের তৈরি ট্রাস্ট।
[৪] এসব দানের আড়ালে তৈরি হচ্ছে সম্পদের বৈষম্য, অবৈধ করপ্রদান এবং অন্যান্য আরও সমস্যা। সম্পদের একটি অংশ দান করে এই ধনীরা সারা পৃথিবীর হিরোতে পরিণত হন। এসব দানের পরিমাণ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। কিন্তু এর আড়ালে তারা যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার গড়ে তুলছেন, তার উৎস, সেটির পিছনে থাকা কর নিয়ে কেউই প্রশ্ন তোলেন না।