আতিকুর রহমান: [২] গাজীপুরে মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ১৩ দিন পর ক্লুলেস এ ঘটনার রহস্য রিক্সা চালকের সহযোগিতায় উন্মোচন করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ ঘটনায় জড়িত একটি কাভার্ডভ্যনসহ চালক ও হেলপারকে মঙ্গলবার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা হতে এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিএমপি’র গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৩] গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হলো কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বল্লাচৌ গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে কাভার্ডভ্যান চালক রাশেদ মিয়া (২৩) এবং লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার হাঁপানিয়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে কাভার্ডভ্যানের চালকের সহকারী (হেলপার) জাবেদ হোসেন (২৬)।
[৪] এসআই রাশেদুর রহমান জানান, গত ১৯ মে ভোর রাত ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানার বড়বাড়ি এলাকার পাকসিন ফ্যাক্টরীর সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুর্বৃত্তরা একটি কাভার্ডভ্যান থেকে লাশটি সেখানে ফেলে পালিয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলা দায়েরের পর নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে তার নাম গাজী ফারুক হোসেন বাবু (৫৫) বলে নিশ্চিত হয়। ঢাকার দক্ষিণখান থানার ফারদাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে ফারুক হোসেন বাবু মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিন দিন পর ২১ মে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পেরে তদন্ত কার্যক্রম অব্যহত রাখে পুলিশ। তদন্তকালে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক রিক্সা চালকের সন্ধান পায় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য ও গাড়ির নম্বরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা হতে চালক রাশেদ ও হেলপার জাবেদকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দেশ ট্রাভেল এজেন্সীর একটি কাভার্ডভ্যানসহ আটক করা হয়। আটককৃতদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পথচারী গাজী ফারুক হোসেন বাবু গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন বলে তারা জানায় এবং আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
[৫] তিনি আরো জানান, ঘটনার রাতে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে ওই ব্যক্তি হঠাৎ পেছনের চাকার নীচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পরে নিহতের লাশ গাড়ির নীচ থেকে বের করে সড়কের এক পাশে রেখে গাড়ি নিয়ে চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে। রিক্সা চালক মুন্না এ ঘটনা দেখতে পেয়ে কাভার্ডভ্যানটির নম্বর একটি চিরকুটে লিখে পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে রাখে যা পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তাকে দেয়। এর প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় ১৩ দিন পর মহাসড়ক থেকে লাশ উদ্ধারের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :