ইশরাত জাহান উর্মি: দ্যাখেন অল্পবয়সী মেয়েদের একটা সিম্পল উপদেশ দিই, শুনবেন? জীবন থেকে নেওয়া কিন্তু। বিষয়টা হইলো, একটু জাগতিক সম্পত্তি বানানো শেখেন। বিশেষত সৌখিন মেয়েরা। আমি মরলে আমার মেয়ে পাবে কতডি শাড়ি, পোশাক আর কাঠ, মাটি, কাপড়, পাট, সূতা ইত্যাদি আলবালছাল দিয়া বানানো ইয়ে লোকে ফ্যাশন মাইরা যারে অল্টারনেটিভ জুয়েলারি বলেন। এইগুলার জাগতিক মূল্য কী বলেন? একটা সময় ছিলো, মেয়েদের চাকরি ছিলো অনেকটা শখের।
আমার আম্মারা, বড় বোনরা ‘বিয়ের পর’ চাকরি ছেড়ে দিতেন। ইন্টারেস্টিংলি সেই ধারা এখনো অব্যাহত। প্রচুর কেইস পাই, ‘টুকটাক’ কাজ করতাম আপু বিয়ের পর ছেড়ে দিয়েছি’ টাইপ বক্তব্য এবং এখন পার্টনার যা-তা বিহেভ করে, না পুষাইলে চলে যেতে বলে। আমার মাথায় ঢুকে না, ঠিক কোন যুক্তিতে নিজ যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি মানুষ ছেড়ে দ্যায়। কারণ পীরিতের পার্টনার বলছে। এক দেহ এক প্রাণ! কাজের ক্ষেত্রে যেকোনো চাকরিরে সিরিয়াসলি না নেওয়ার এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে প্রবল এখনও। দ্যাখেন আমি বলতে চাই না যে পুরুষ মাত্রই মিসোজেনিস্ট কিন্তু সাম হাউ কামাই করা পুরুষেরা নারীদের সঙ্গত কারণেই নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। তারা চান, নারী তাদের পছন্দ মতো চলুক। এন ভাইসভার্সা। তাই যতো ভালো বোঝাপড়াই থাকুক নিজের কাজ বা পেশা নিয়া কোনো আপোষ করবেন না প্লিজ।
রাজ্যের পেজ থিকা লাইক মি শাড়ি চুড়ি জুতা মোজা কেনা বাদ দিয়া অর্থকরী কিছুতে পয়সা ইনভেস্ট করেন, যৌবন যাবার আগেই পায়ের নিচে মাটি শক্ত হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। নিজের পয়সায় নিজের শখ অবশ্যই মেটাবেন কিন্তু তার আগে লক্ষ্য করেন যে প্রয়োজন মেটানোর একক সামর্থ্য আপনার আছে কিনা। একটা বয়স পরে এইসব রিয়ালাইজেসন আর কোনো কাজে আসে না। মাঝবয়সে আইসা আমি যেমন খাবি খাইতেসি, ঘরভর্তি খালি শাড়ির ...। যা হোক, আমার বলার ছিলো বললাম। শুনবেন কিনা সেইটা আপনাদের ব্যাপার। আপনার ন্যাজ আপনি হাতে কাটবেন না বটিতে তা আপনারই ব্যাপার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :