সাগর আকন: [২] বরগুনা পুরাকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কটি বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলে তিন উপজেলার সঙ্গে বরগুনার সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সড়ক বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কেহ দায় নিতে রাজি নয়।
[৩] জানা যায়, ওই সড়কে শত কোটি টাকা ব্যয়ে বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মান করে। বরগুনা পুরাকাটা সড়কে চরকগাছিয়া নামক স্থানে চায়না কোম্পানী একটি কালভার্ট নির্মান করে। ঠিকাদার মাহফুজ খান একশত মিটার বাদ দিয়ে তাঁর অংশে কাজ শেষ করে চলে যায়। কালভার্ট নির্মান শেষ হলে ওই স্থানে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয় চায়না কোম্পানি। ঈদের আগে থেকে ওই স্থানে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সামান্য বৃষ্টি হলে পটুয়াখালী, আমতলী, কলাপাড়া ও কুয়াকাটা সি বীচের সঙ্গে বরগুনার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন কি পায়ে হেটেও মানুষ চলাচল করতে পারছে না। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
[৪] বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা যায়, বেড়িবাধটি তাদের। তাঁরা বরগুনা সওজকে দিয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়কটি সওজ করেছে। তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড পাকা রাস্তা করেনা। সওজের অফিস সহকারী মামুন বলেন, ওই একশত মিটার রাস্তা ঠিকাদার মাহফুজ খান কালভার্ট করার কারণে বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ড থেকে টাউনহল পযর্ন্ত অতিরিক্ত কাজ করেছেন।
[৫] বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি ব্যস্ততম সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা বরগুনা সড়ক বিভাগের উদাসনিতার কথাই বলব। তাঁরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। বাস চালক আবদুল মজিদ বলেন, ঈদের পর থেকে বরগুনা পুরাকাটা সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কটি যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা না হলে আমাদের ভোগান্তি বাড়তে থাকবে।
[৬] সওজের বরগুনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল আহসান বলেন, আমি পটুয়াখালী থাকি। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছি বরগুনা। ওই সড়কটি আমরাই করব। তবে এত বেহাল দশা হয়েছে তা বরগুনার অফিস আমাকে জানায়নি। আমি উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব। তবে কবে নাগাদ যান চলাচলের উপযোগী করে দিবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :