সুজিৎ নন্দী: [২] ভোর থেকে তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায়। এয়ারপোর্ট থেকে বিশ্বরোড, উত্তরার বিভিন্ন এলাকা, পল্টন, কাকরাইল এবং মেট্রোরেলের কাজের কারণে খোঁড়াস্থানে জলাবদ্ধতার তৈরি হয়েছে।
[৩] সরেজমিনে ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, মিরপুর, বাড্ডাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমতে দেখা যায়। এছাড়াও অনেক এলাকায় বাসাবাড়িতে পানি চলে আসে।
[৪] মঙ্গলবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এরপর শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। এটা চলে প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ওলিগলিও ডুবে গেছে। এলাকার রাস্তা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। অনেক স্থানে ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। আর এতে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয় রাজধানীজুড়ে।
[৬] ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সকালে বৃষ্টি দেখেই আমাদের প্রকৌশল বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মীদের মাঠে নামানো হয়েছে। তারা কাজ করছে। আর আজ অনেক বৃষ্টি হয়েছে। এমন বৃষ্টি হলে পানি কিছুটা জমবে। তবে সেই পানি আগের তুলনায় অনেক দ্রুত সরে যাচ্ছে।
[৭] এ সময় রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিবহন, গণপরিবহন, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরযানে দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। জলজট ও যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও পথচারীরারা। কোনো কোনো রাস্তায় একশ’ গজ পার হতে সময় লেগে যায় দেড় ঘণ্টা।
[৮] ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, কোথাও উন্নয়ন হলে তার কিছু অসুবিধা ভোগ করতে হতে পারে। এটা সাময়িক ও অস্থায়ী। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। আমরা অনুরোধ করি তারা যেন এমনভাবে কাজ করে যাতে বৃষ্টির পানি না জমে এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
[৯] একাধিক সূত্র জানায়, ‘স্টর্ম ওয়ার্টার’ বা বর্ষার পানি বের হয়ে যাওয়ার যে ড্রেন লাইন সেগুলো ওয়াসা থেকে সম্প্রতি ডিএনসিসি বুঝে পেয়েছে। খালের যে অবস্থা তার মধ্যে দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বৃষ্টির পানি চলে যাওয়ার উপায় নেই। আবার বর্ষার পানি যে ড্রেনের পথ ধরে খালে যাবে সেটি হয়তো আটকে আছে। এগুলো ডিএনসিসি সম্প্রতি সংস্কার কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন খালের মুখ কাটার কাজ চলছে। সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে যেন পানি প্রবাহিত হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :